× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সর্বোত্তম চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডন পাঠান: বি. চৌধুরী

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৫ বছর আগে) জুন ১০, ২০১৮, রবিবার, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন

সর্বোত্তম চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডন পাঠানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে বাংলাদেশ জনদল (বিজেডি) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ আহ্বান জানান। বি. চৌধুরী বলেন, পত্রিকায় দেখলামÑ খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা বলেছেন, তিনি ৭ মিনিট সংজ্ঞাহীন ছিলেন। এ কথা সঠিক হয়ে থাকলে তার নিশ্চয়ই টিআইএ হয়েছিল। অর্থাৎ তার সাময়িকভাবে মস্তিস্কে রক্ষ চলাচল কমে গিয়েছিল। এই ধরণের রোগীর ভবিষ্যতে ব্রেন স্ট্রোক বা প্যারালাইসিস হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এই পর্যায়ে সর্বোত্তম নিউরোলজিক্যাল সেন্টারে তার চিকিৎসা হওয়া উচিত। খালেদা জিয়া তিন বারের প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলের নেতা ছিলেন।
সুতরাং অন্য বিবেচনা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র রাজনৈতিক ও সামাজিক বিবেচনায় তার সঠিক চিকিৎসা হওয়া উচিত। প্রয়োজন হলে সর্বোত্তম চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে পৃথিবীতে এই ধরনের রোগের জন্য শ্রেষ্ঠতম নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো উচিত। এই হিসাবে আমি তাকে লন্ডনের ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজি কুইনন্স স্কয়ার অথবা লন্ডনের হ্যামার স্মীথ হাসপাতালের (সাবেক রয়েল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল স্কুল) মতো নিরাময় কেন্দ্রে তার চিকিৎসা হওয়া উচিত। বি. চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেনÑ বিএনপি আমার সঙ্গে এতো খারাপ ব্যবহার করার পরও আমি খালেদা জিয়ার পক্ষে কেনো কথা বলি? স্মরণ রাখা উচিত আমি আওয়ামী লীগ নেতা কাউন্সিলর একরাম হত্যার তীব্র প্রতিবাদ করেছি। যেখানেই গণতন্ত্রের উপর আঘাত আসবে, যেখানে মানবতাবিরোধী কার্যকলাপ হবে, সেখানে সরকার বা বিরোধী দল বুঝি না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলতেই থাকবো। এটা বিকল্পধারা ও যুক্তফ্রন্টের নীতি। তিনি বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন এখন জনগণের মৌলিক দাবি। এর জন্য নির্বাচনের অন্তত ১০০ দিন আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। যাতে এমপি ও মন্ত্রীরা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। তার আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা সবদলের সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকৃত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বি. চৌধুরী বলেন, দুঃখের বিষয় হচ্ছেÑ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশ্ন উঠলে এই সরকারের মন্ত্রীরা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে নেই। কিন্তু আমি যখন সংসদে উপনেতা ছিলাম সে সময়, ১৫ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর একরাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ করেছিলাম। তারপর মাত্র ৪ মাসের মধ্যে নতুন নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছিলাম। সুতরাং আপনারা (আওয়ামী লীগ) কেনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা জাতীয় সরকার আগামী এক মাসের মধ্যে করতে পারবেন না? সত্যিকারের নির্বাচন করতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা জাতীয় সরকারের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) চান বা নাই চান দেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার আদায় করেই ছাড়বে। এজন্য জনবিস্ফোরণ হলে এই সরকারই দায়ী থাকবে। বি. চৌধুরী বলেন, আমরা চাই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান। যেমন হয়েছে মালয়েশিয়ায়। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে সেখানে মাহাথির মুহাম্মদ নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের একজন কর্মীকেও জেলে রাখা হয়নি বা ভোটের পর একজন কর্মীকেও নির্যাতন করা হয়নি। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দলমত নির্বিশেষে এই অবৈধ সরকারকে হটিয়ে জনগণের শাসন কায়েম করার জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। বিজেডির চেয়ারম্যান ডা. এসএম শাজাহানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বিকল্পধারার সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন অর রশিদ, বিজেডি নেতা হারুন অর রশিদ, আবুল হাসেম সরকার ও আতিকুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর