কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় ইউএনওসহ উপজেলা প্রশাসনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। এ কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সেবা নিতে আসা লোকজন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে সময় মতো না পেয়ে সেবা নিতে আসা লোকজন ঘুরে যাচ্ছেন এবং হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। এতে এলাকার উন্ননমূলক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে এলাকাবাসাীর মনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানা যায়, উপজেলা পরিষদের ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ পদের মধ্যে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার পদ দীর্ঘদিন ধরে শুন্য রয়েছে। এসব গুরুত্বপূর্ণ পদে পার্শ্ববর্তী উপজেলার কর্মকর্তারা এ উপজেলায় এসে শূন্য পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু এসব কর্মকর্তারা এক দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও আসেন না।
এ কারণে উপজেলার একটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়ন থেকে সেবা নিতে আসা লোকজন সময়মতো কর্মকর্তাদের অফিসে না পেয়ে ঘুরে যাচ্ছেন এবং হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এতে উপজেলার উন্নয়নমূলক কাজের মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। এ ব্যাপারে হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মজিবুর রহমান আকন্দ হামদু এর কাছে জানতে চাইলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এসব কর্মকর্তাদের পদ দীর্ঘদিন ধরে শুন্য থাকায় টিআর, কাবিখা-কাবিটাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বিল বাউচার ফাইলবন্দি হয়ে রয়েছে। প্রতিদিন অফিসে এসে ঘুরে যেতে হচ্ছে। এসব ফাইল ছাড় করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের মুজুরি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের এসব গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা না থাকার ব্যাপারে নারান্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমান ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক মো.শফিকুল ইসলাম বলেন, জুন ক্লোজিং চলছে। এসকল কর্মকর্তাদের পদ শুন্য থাকায় বিভিন্ন প্রকল্পের অনুকূলে বিল পাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা পিআইও ১৫দিনেও একদিন আসে না। এতে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজের মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে।