× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেয়াল ধসে শিশু নিহত, আশ্রয়হীন চার শতাধিক পরিবার

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, উখিয়া থেকে
১২ জুন ২০১৮, মঙ্গলবার

সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে গত ৩দিন ধরে উখিয়ায় ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের বসতবাড়ীর দেয়াল ধসে পড়ে ৪ শতাধিক পরিবার আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। এ সময় মাটি চাপা পড়ে নিহত হয়েছে আড়াই বছরের শিশু মো. ফারুক। সে কুতুপালং টিভি রিলে কেন্দ্র এলাকা সংলগ্ন ক্যাম্পে বসবাসকারী মো. শুক্কুরের ছেলে।
মো. শুক্কুর স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, সোমবার সন্ধ্যা থেকে প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাত বইতে শুরু করে। রাত যত গভীর হচ্ছে ততই বাড়তে থাকে বৃষ্টি ও বাতাসের গতিবেক। ভোররাতের দিকে হঠাৎ করে তার বসতবাড়িটি ধসে পড়লে স্ত্রীকে নিয়ে কোনোরকম একটি গাছের খুঁটি ধরে রক্ষা পেলেও আড়াই বছরের শিশু মো. ফারুককে রক্ষা করার যায়নি।
বালুখালী ২নং ক্যাম্পের আবু তাহের মাঝি জানান, তার ক্যাম্প পাহাড় কেটে বসবাসের উপযোগী করে অধিকাংশ ঘর তৈরি করা হয়েছে।
যেগুলো ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ । ইতিপূর্বে প্রশাসন তার ক্যাম্পের ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারকে অন্যত্রে সরিয়ে নেয়ায় আশ্বস্ত করলেও তারা তা করেনি। রোববার রাতভর ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড়ের খাদে ও উপরে বসবাসরত প্রায় ২৩০টি বসতবাড়ি ধসে পড়েছে। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে এসব পরিবার।
তাজনিমার খোলা ক্যাম্পে ৪০টি, বালুখালী-১নং ক্যাম্পে ৬০, কুতুপালং ক্যাম্পে ৭০টি সহ প্রায় ৪ শতাধিক বসতঘর ধসে পড়ার ফলে ওইসব ঘরে আশ্রিত রোহিঙ্গারা এখন আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। এদের অনেকেই আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিলেও খোলা আকাশের নিচে দিন যাপন করছে প্রায় ২ শতাধিক পরিবার।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, তিনি সকালে বেশ কয়েকটি ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। সেখানে বেশকিছু বসতবাড়ি ধসে পড়তে দেখা গেছে এবং একটি শিশু মাটি চাপা পড়ে নিহত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী রোহিঙ্গারা তাকে জানিয়েছেন। শূন্যরেখায় কোমর পানি।
গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে তুমব্রু খালের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার রাতে ঝড়ের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার কারণে সীমান্তের তুমব্রু কোনারপাড়া শূন্যরেখায় আশ্রিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প কোমর পানিতে ঢুবে যায়। এ সময় রোহিঙ্গারা ঝুঁকি নিয়ে কোনোরকম রাত পার করলেও পানির তোড়ে প্রায় শতাধিক বসতবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বলে রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন। সীমান্তের ওয়ালিডং পাহাড় থেকে সৃষ্ট এই তুমব্রু খালটি কোনারপাড়া হয়ে বালুখালী কোমারীরছড়ার সঙ্গে মিলিত হয়ে নাফ নদীতে পড়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর