মিশরের অনুশীলনে ফিরলেন মোহাম্মদ সালাহ। এতে উরুগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তাকে পাওয়ার আশা বাড়লো ভক্তদের। শনিবার মিশরের অনুশীলন দেখতে মাঠের বাইরে আর গ্যালারিতে উপচে পড়েছিলেন হাজারো সমর্থক। এদিন অবশ্য পুরো অনুশীলন করেননি সালাহ। গত ২৬শে মে কিয়েভে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচে কাঁধে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। পরে স্পেনের বার্সেলোনায় পুনর্বাসনে ছিলেন তিনি। দীর্ঘ এক মাস পুনর্বাসনে থাকার পর এই প্রথম মাঠে ফিরলেন লিভারপুলের এ ফরোয়ার্ড। অনুশীলন শেষে সালাহ বলেন, আমি ওয়াদা করছি, বিশ্বকাপের জন্য ফিট হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবো।
আমি এখন খুব ভালো অনুভব করছি। আমি উরুগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। আমাদের স্বপ্ন কখনোই শেষ হতে দিবো না। আমি আবারো ওয়াদা করছি, দেশের মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নিজের সেরাটা উজাড় করে দিবো। আগামী ১৫ই জুন উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে সালাহদের এবারের বিশ্বকাপ মিশন। গ্রুপ ‘এ’তে মিশরের বাকি দুই প্রতিপক্ষ স্বাগতিক রাশিয়া ও সৌদি আরব। এবারের মৌসুমে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন মোহাম্মদ সালাহ। প্রিমিয়ার লীগে ৩২ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জেতেন তিনি। অলরেডদের জার্সি গায়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৩ ম্যাচে ৪৪ গোল করেন সালাহ। গত বছর বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে তার গোলেই বিশ্বকাপের মূল পর্বের টিকিট কাটে মিশর। ২০১১তে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের পর ৫৭ ম্যাচে ৩৩ গোল পেয়েছেন সালাহ। ২৮ বছর পর বিশ্বকাপে খেলছে আফ্রিকার দেশ মিশর। সর্বশেষ ১৯৯০ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায় তারা।
এর আগে প্রথম মুসলিম দল হিসেবে ১৯৩৪’র ইতালি বিশ্বকাপে অংশ নেয় মিশর। ঐ আসরে প্রথম রাউন্ডে হাঙ্গেরিকে ৪-২ গোলে উড়িয়ে দেয় পিরামিডের এ দেশটি। সর্বশেষ ২০১০’র আফ্রিকান কাপ অব নেশনসে’র শিরোপা জেতে তারা। এটা মিশরের আফ্রিকান কাপ অব নেশনস আসরের সপ্তম শিরোপা। ঐ বছরই বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব পার হতে পারেনি তারা। আলজেরিয়ার কাছে প্লে-অফে হেরে বিশ্বকাপের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় মিশরীয়দের। ২০১৪’র ব্রাজিল বিশ্বকাপেও খেলা হয়নি তাদের। বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে গানার কাছে খুব বাজেভাবে হেরে বিদায় নেয় দলটি। গত বছর বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে কঙ্গোকে ২-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট কাটে মিশর।