× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চাঁদা না পেয়ে কলেজে তালা ঝুলালেন আওয়ামী লীগ নেতা

অনলাইন

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) জুন ১২, ২০১৮, মঙ্গলবার, ১:০৯ পূর্বাহ্ন

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে শিক্ষকদের বেতন-বোনাস থেকে চাঁদা দাবি করে কলেজ গভর্নিংবডির সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা ইমরুল কায়েস মুরাদ। চাঁদা না পেয়ে নিজেই কলেজে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বেতন-ভাতা সীটে স্বাক্ষর না করায় ঈদের আগে বেতন-বোনাস তুলতে পারছেন না কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ধনবাড়ী পাচপোটল ডিগ্রী কলেজের বাংলা বিভাগের দিলরুবা বেগম এবং জীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক কায়সার হোসেন সম্প্রতি প্রভাষকের স্কেল থেকে সহকারি অধ্যাপক স্কেলে উন্নীত হন। কলেজের কারনিক গত রোববার বেতন-ভাতা উত্তোলনের জন্য বিল ফরমে সই আনতে গেলে কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি ইমরুল কায়েস মুরাদ ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
শিক্ষক দিলরুবা বেগম ও কায়সার হোসেন অভিযোগ করেন, বেসরকারি কলেজের জনবল কাঠামো অনুযায়ী যথা নিয়মে শিক্ষা অধিদপ্তর তাদের দুজনকে সহকারি অধ্যাপক পদে বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাস চলতি এমপিও এর সাথে সমন্বয় করে দিয়েছেন। কিন্তু কলেজ সভাপতি তাদের দুজনের কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় বিলে স্বাক্ষর করবেন না বলে জানিয়ে দেন।
চাঁদা না পেয়ে সভাপতি ইমরুল কায়েস মুরাদ গত রোববার রাতে কলেজে তালা ঝুলিয়ে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সভাপতি মুরাদ কয়েকজন মাদকাসক্তকে সাথে নিয়ে রামদা, ছুরি-চাকু ও লাঠিসুটা নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে মহড়া দেন এবং পরে কলেজের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। চাঁদা না পেয়ে সভাপতি গতকাল সোমবার কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৩টি গাছ কেটে নেন বলে এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে বলিভদ্র ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুরুজ্জামান মিন্টু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ইমরুল কায়েস ধনবাড়ী উপজেলা ছাত্রদলের সম্পাদক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
এলাকাবাসী জানান, সরকারি দলে যোগদানের পর ইমরুল কায়েস মুরাদ নিজেই একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন। এরপর তিনি মাদক ব্যবসা ও সেবনের সাথে জড়িত হয়ে পড়েন। তার ভয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।  এলাকাবাসী আরো জানান, সভাপতি ও অধ্যক্ষ দুজনে মিলেমিশেই কলেজে নানা অনিয়ম দুর্নীতি করছেন।
বলিভদ্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম এবং সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তালুকদার এসব ঘটনা ও অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কলেজটি নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। এখান থেকে পরিত্রাণ পেতে সাংবাদিক স্থানীয় প্রশাসনসহ সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করি।
কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ জানান, বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চলছে।
ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা সিদ্দীকা এ ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে জানান। তবে কেউ অভিযোগ দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে কলেজের সভাপতি ইমরুল কায়েস মুরাদ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ নানা অনিয়ম করে ওই ২ শিক্ষককে সহকারি অধ্যাপক পদে স্কেল পাইয়ে দিয়েছেন। তাই তিনি কলেজের বিলে স্বাক্ষর করেননি। তবে চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। কলেজে তালা তিনি দেননি, এলাকাবাসী দিয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর