টাঙ্গাইলে আলোচিত তিনটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল দুপুরে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় তার সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংাবাদিকদের এ তথ্য জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফুল হক, আহাদুজ্জামান মিয়া।
গত ১লা জুন টাঙ্গাইল পৌর শহরের আদালত পাড়া এলাকার কাজী শামসুল আলমের লাশ পাওয়া যায় শহরের কাগমারা চরপাড়া এলাকায়। এ ঘটনায় নিহতের বড় মেয়ে হুমায়রা দিশা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আলহাজ আকন্দ ও তার সহযোগী মো. সাব্বিরকে আটক করে। তারা জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। নিহত কাজীর সঙ্গে আলহাজ আকন্দের স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক থাকায় তার বন্ধু সাব্বিরকে সঙ্গে নিয়ে সে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে আদালতকে জানায়।
গত ৮ই মে টাঙ্গাইল পৌর এলকার কাজিপুরের বেড়াবুচনার একটি ধানখেত থেকে ফরিদুল ইসলাম নামের এক ইজিবাইক চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের মা ফরিদা বেগম বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। পুলিশ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে মিলন মিয়া, লিটন মিয়া, মৃদুল, সজল, ইব্রাহিম খলিল ওরফে শুভ ও টোকাই আলামিনকে আটক করে। এর মধ্যে মিলন, মৃদুল, শুভ ও সজল দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। ইয়াবার টাকা ভাগভাটোয়ার নিয়ে ফরিদুলকে হত্যা করা হয়েছে বলে আসামীরা আদালতকে জানায়। চলতি বছরের ১৭ই ফেব্রুয়ারি বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের শামসুজ্জামান পটল নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করে তার লাশ বাথরুমের কুয়ার মধ্যে ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ১৯শে ফেব্রুয়ারি বাসাইল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পুলিশ তদন্ত করে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় গত ২২শে মে শিশির ও রাফি নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে। তারা আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।