× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগ কর্মী লিটু হত্যা /খোঁজ মিলেনি সেই আততায়ীর

বাংলারজমিন

মিলাদ জয়নুল, বিয়ানীবাজার (সিলেট) থেকে
১৩ জুন ২০১৮, বুধবার

প্রায় ১০ মাস অতিবাহিত হয়েছে। গ্রেপ্তার চার আসামি রিমান্ড শেষে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মামলার বাদী ঘুরছেন আদালতের বারান্দায়। কিন্তু এরপরও নিশ্চিত করে জানা যায়নি আতঙ্ক জাগানিয়া সেই গুলির রহস্য। খোঁজ মিলেনি সেই নিঃশব্দ আততায়ীর- যে গুলি করে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসের শ্রেণিকক্ষে খুন করে বহিরাগত ছাত্রলীগকর্মী খালেদ আহমদ লিটু (২৫)কে। মুহূর্তে টগবগে তরুণকে নিথর করে দেয়া সেই গুলি কার হাত দিয়ে ছোঁড়া হয়, কার গুলিতে প্রথমবারের মতো লাশের সাক্ষী হয় কলেজ ক্যাম্পাসের মেঝে- সেসব প্রশ্নের উত্তর নেই খোদ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে। অস্ত্রটিও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিহত লিটু যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন, তা এখনো পাওয়া যায়নি।

গত বছরের ১৭ই জুলাই দুপুরে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসের শ্রেণিকক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয় ছাত্রলীগ কর্মী লিটুর গুলিবিদ্ধ নিথর দেহ। এরপর থেকে চাঞ্চল্যকর এ খুনের রহস্য আজো জানা যায়নি। হত্যাকাণ্ডের দিন নিহত লিটুর পিতা খলিল উদ্দিন বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা করেন। কিন্তু হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত কাউকে এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। হত্যার কারণও জানা যায়নি। যদিও এজাহারনামীয় এক ছাত্রলীগ ক্যাডারের দিকে অভিযোগের তীর তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রের। তিনি এখনো পলাতক। মাঝেমধ্যে সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কোনো বিশেষ ব্যক্তির সঙ্গে নিজের ছবি ফেসবুকে আপলোড করেন ওই ছাত্রলীগ ক্যাডার।
পুলিশ খোলাসা না করলেও বিয়ানীবাজার উপজেলাজুড়ে এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে আছে নানা কথা। হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল থেকে একজোড়া জুতা উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া ময়নাতদন্তের সময় লিটুর মাথায় লাগা গুলিটিও উদ্ধার করা হয়।
মামলার বাদী খলিল উদ্দিন জানান, তার ছেলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সন্ধান দিতে পারেনি পুলিশ। তবে ঘটনার দিন কারা তার ছেলের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, তা পুলিশ কললিস্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছে। তিনি বলেন, ছেলের হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত, তা পুলিশই ভালো জানে। কারণ, তারা মামলার তদন্ত করছে।
তদন্ত সূত্র জানায়, ঘটনার দিন সকালে ছাত্রলীগের বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা নিরসন হলে একটি কক্ষে বসে খোশগল্প করছিলেন নিহত লিটুসহ তার গ্রুপের আরো কিছু নেতাকর্মী। এ সময় হয়তো কেউ গুলি করে পালিয়ে যেতে পারে। নিহত লিটুর মরদেহ অটোরিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যান ছাত্রলীগের পাভেল মাহমুদ গ্রুপের নেতা কামরান হোসেন, এমদাদ হোসেন এবং আরো দু-একজন। পরে হাসপাতাল এলাকা থেকে তাদেরসহ ফাহাদ আহমদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনা পরবর্তী সময়ে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু দীর্ঘদিন পরেও এ কমিটি ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কোনো প্রতিবেদন দাখিল করেনি। কলেজের উপাধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম জানান, আমি সে সময়ে অন্যত্র চাকরি করতাম। তাই আমার তেমন কিছু জানা নেই। তবে তদন্ত কমিটি কোনো প্রতিবেদন দাখিল করেনি। বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহিদুল হক জানান, অচিরেই এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে। মামলায় এজাহারনামীয়দের অভিযুক্ত করা হবে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ই জুলাই বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসের শ্রেণিকক্ষ থেকে ছাত্রলীগকর্মী খালেদ আহমদ লিটুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার নিহতের পিতা খলিল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলার আসামিরা হলেন ফাহাদ আহমদ, কামরান হোসেন, এমদাদ হোসেন, দেলোওয়ার হোসেন, কাওছার আহমদ, শিপু ও সাহেদ আহমদ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর