× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নারায়ণগঞ্জে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর ফাঁসি

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
১৩ জুন ২০১৮, বুধবার

নারায়ণগঞ্জে যৌতুকের দাবীতে গৃহবধূ সখিনা খাতুনকে পিটিয়ে হত্যার মামলার রায়ে স্বামী বাবুল মিয়াকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ  দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামীকে এক লাখ টাকা অর্থদন্ডও করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোঃ জুয়েল রানা এ আদেশ দেন। রায় ঘোষনার সময় আসামী বাবুল মিয়া (৩৫) আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত বাবুল মিয়া ফরিদপুরের মধুখালীর গোন্দারদিয়ার আব্দুল বাতেন ভূইয়ার ছেলে। নিহত সখিনা খাতুন ফরিদপুরের মধুখালীর গোন্দারদিয়ার তমিজ উদ্দিনের মেয়ে। তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনে রূপগঞ্জ উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পূর্বে বাবুল মিয়ার সাথে সখিনা খাতুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বাবুল মিয়া যৌতুকের দাবিতে প্রায় সময় সখিনাকে মারধরসহ নানাভাবে নির্যাতন করতো।
নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিশেষ পিপি (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী) মো: রকিব উদ্দিন জানান, দাবিকৃত ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে গত ২০০৪ সালের ১৫ মে রূপগঞ্জের নয়াপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় সখিনা খাতুনকে তার স্বামী বাবুল মিয়া ব্যাপক মারধরসহ পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে।
এসময় আশপাশের লোকজন এসে সখিনাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ দিন পর ২০শে মে সখিনা মারা যায়।
এ ঘটনায় সখিনার বাবা তমিজ উদ্দিন বাদি হয়ে জামাতা বাবুল মিয়াকে আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ বাবুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। আদালত এই মামলায়  ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহন শেষে এ রায় প্রদান করেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর