× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খাগড়াছড়িতে ভয়াবহ বন্যা ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি

বাংলারজমিন

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
১৩ জুন ২০১৮, বুধবার

ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে খাগড়াছড়িবাসী। বর্ষণ অব্যাহত থাকায় খাগড়াছড়ির বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। বন্যায় খাগড়াছড়ি শহরের অধিকাংশ এলাকা ও বিভিন্ন উপজেলার প্রধান বাজার ও এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসের কারণে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পানিবন্দি লোকজনকে উদ্ধারে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে খাগড়াছড়ি রেডক্রিসেন্ট ইউনিট। লোকজনকে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে মাইকিং করছে প্রশাসন। জানা গেছে, বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে এ পর্যন্ত ৫ শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়েছে বেশকিছু কাচা ঘর-বাড়ি। বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। ভেসে গেছে শত শত পুকুরের মাছ। বর্ষণ অব্যাহত থাকায় চেঙ্গী, মাইনী ও ফেনীর নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আলী আহম্মেদ খাঁন, পৌর মেয়র মো. রফিকুল আলমসহ জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, খাগড়াছড়ি শহরের মুসলিমপাড়া, মেহেদীবাগ, শান্তিনগর, বাস টার্মিনাল, মিলনপুর, সবজি বাজার, গঞ্জপাড়া, রাজ্যমনি কার্বারি পাড়া, অর্পণা চৌধুরীপাড়া, আপার পেড়াছড়া পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অপরদিকে জেলার দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ও কবাখালী বাজারের তিন শতাধিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে দুটি ইউনিয়নের ১০ গ্রামের ১ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। শতাধিক পরিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে পাহাড়ধস ও সড়কে পানি উঠায় খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি সড়ক ও দীঘিনালা-লংগদু সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসে বেশকিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও হতাহতের কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর