ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানেই কেনাকাটা। রমজান শেষে ঈদ সমাগত। এই রোজার মাসে চলছে ঢিলেঢালা কেনাবেচা। কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার বড় বাজারের বিভিন্ন বস্ত্রালয়ের এমন দৃশ্য ছোখে পড়ে। এই বাজারে ছোট বড় মিলে ১৫টি কাপড়ের বস্ত্রালয় এবং ১২টি জুতার দোখান রয়েছে। কিছু দোখানে দু-একজন ক্রেতা দেখা গেলেও অধিকাংশ দোখানে ক্রেতাশূন্য। অষ্টগ্রাম বড় বাজারের একজন বড় ব্যাবসায়ী জননী বস্ত্রালয়ের মালিক সন্তোষ কুমার দেবনাথ জানান বছরের দুটি ঈদে প্রচুর বেচাকেনা হয়। কিন্তু এবারের ঈদে একদম বেচাকেনা নাই।
সাধারণত ঈদে কাপড়ের ও জুতার দোখানের কেনাকাটার ভিড় থাকে। কিন্তু এবারের বেচাকেনার চিত্র সম্পূর্ন ভিন্ন। বাজারের আরেক ব্যাবসায়ী শ্রী রামকৃষ্ণ বস্ত্রালয়ের মালিক আশিষ কুমার দেবনাথ জানান ঈদের সময় প্রতিদিন এক লাখ থেকে দু’লক্ষ টাকা বেচাকেনা হতো। কিন্তু এ বছর প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা মালামাল বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে একজন ব্যাবসায়ী আজাহার সুজ ও মীম সুজ আশিক মিয়া জানান সারাদিন ব্যাবসা করে হাজার টাকা বেচাকেনাও নাই। জানাযায় এবছর হাওড়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে কৃষকের ঘরে সোনালি ফসল
তুলতে না পাড়ায় ঈদের আনন্দের ভাটা দেখা দেয়। কারন হাওড় এলাকার একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে কৃষি জমি চাষ। আর এর ওপর নির্ভর করে চলে প্রয়োজনীয় সকল ভোগ বিলাস। তাই হাওরের ঈদের আনন্দ গত দুই বছর যাবত হারিয়ে যেতে বসেছে। আগের মতো করে ছেলেমেয়েদের খোলামেলা দলবেঁধে হাসি-আনন্দে মেতে উঠার দৃশ্য খুব কম চোখে পড়ে। এমন অবস্থায় হাওরের সাধারণ গরিবের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করলে তাদের প্রয়োজনীয় কাপড়সহ নিত্য খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করতে পারত। ফিরে পেত তাদের হারানো দিনের ঈদের স্মৃতি।