× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার বাধা জার্মানি’

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১৩ জুন ২০১৮, বুধবার

ফ্রান্স, স্পেন, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মতো দলগুলোর উন্নতি দেখছেন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জার্মানির কোচ জোয়াকিম লো। আসন্ন রাশিয়া বিশ্বকাপে শিরোপা প্রত্যাশী সব দলই জার্মানিকে হারাতে চায় বলে মনে করেন তিনি। লোর চোখে অন্য বড় দলগুলোর সামনে জার্মানিই প্রধান বাধা। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ জয়ের পর ২০১৬ ইউয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের (ইউরো) সেমিফাইনাল ও ২০১৭ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের শিরোপা ঘরে তোলে জার্মানরা। চারবারের চ্যাম্পিয়নদের সামনে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ। গত আসরের ফাইনালে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করে লোর শিষ্যরা। কোচ হিসেবে বিগত ৮০ বছরে প্রথম ও ইতিহাসে দ্বিতীয়বার দুবার বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি জোয়াকিম লোর সামনে। আগামী ১৭ই জুন মেক্সিকো ম্যাচ দিয়ে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামবে চারবারের বিশ্বকাপ জয়ী জার্মানি।
‘এফ’ গ্রুপের অপর দুই প্রতিপক্ষ সুইডেন ও দক্ষিণ কোরিয়া। বড় দলগুলো জার্মানিকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করতে চাইবে বলে মনে করেন লো। তিনি বলেন, ‘যদি আপনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন, কনফেডারেশন্স কাপ জেতেন এবং তিন-চার বছর ধরে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তিনে থাকেন অবশ্যই অন্যের শিকারে পরিণত হবেন। প্রত্যেক দল বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের পরাস্ত করতে চায়।’ কোচ হিসেবে দুবার বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরার কীর্তি ছুঁতে চান লো। ইতালিকে ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ বিশ্বকাপ জিতিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন ইতালিয়ান কোচ ভিত্তোরিও পোজ্জো। লক্ষ্য অর্জন যে সহজ হবে না তা ভালো করেই জানেন লো। তার অনুভূতি জার্মানির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীরা এই চার বছরে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ৫৮ বছর বয়সী লো বলেন, ‘ফ্রান্স ক্রমেই ভালো করছে। স্পেন অনেক উন্নতি করেছে। ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার উন্নতিও চোখে পড়ার মতো। আবারো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অর্জন আমার কাছে অনেক কিছু। এটা ঐতিহাসিক কিছু হবে। কিন্তু এরকম কঠিন মিশনে আমি পা মাটিতেই রাখছি। শিরোপা জয়ের জন্য সবকিছু ঠিকঠাক আছে। মাঠে এর প্রয়োগ করতে হবে। কাজটা সহজ হবে না। কারণ, মানের দিক থেকে বড় দলগুলো সমমানের। তাই ছোট ছোট জিনিসগুলোই অনেক বেশি প্রভাব ফেলতে পারে।’ ২০০৬ সালে জার্মানির কোচ হিসেবে ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যানের স্থলাভিষিক্ত হন জোয়াকিম লো। তার অধীনে তৃতীয় হয়ে ২০১০ বিশ্বকাপ শেষ করে জার্মানি। এখনো ইউরো জেতা হয়নি। ২০০৮ আসরে রানার্সআপ হওয়ার পর টানা দুইবার সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়। লোর কোচিংয়ে জার্মানি দলের জয়ের শতকরা হার ৬৬.০৫ শতাংশ। ১৬২ ম্যাচের মধ্যে জয় ১০৭টিতে। ৩০ ড্র ও বাকি ২৫ ম্যাচের ফলাফল ড্র।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর