× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ৮ মে ২০২৪, বুধবার , ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কিশোরগঞ্জে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ ও পাকুন্দিয়া প্রতিনিধি
১৩ জুন ২০১৮, বুধবার

ঈদের কেনাকাটার কথা বলে কিশোরগঞ্জের এক কিশোরীকে (১৫) পাকুন্দিয়ায় নিয়ে গণধর্ষণ করেছে কপট প্রেমিক ও তার চার সহযোগী। গণধর্ষণের শিকার কিশোরীকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে গণধর্ষণের বিষয়টি জানার পরই অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত প্রেমিক বাদশা মিয়া (২৫) সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তার অন্য দুজনের নাম এরশাদ (২৫) ও রুস্তম (২১)। মঙ্গলবার র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (কোম্পানী অধিনায়ক) লে. এম শোভন খান, (এস), বিএন ও স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি বিশেষ দল পাকুন্দিয়া উপজেলার শালংকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে গ্রেপ্তার হওয়া তিন ধর্ষকসহ মোট পাঁচজনকে আসামি করে মঙ্গলবার দুপুরে পাকুন্দিয়া থানায় মামলা করেছেন। মামলার অন্য দুই আসামি হচ্ছে, নাছিম (২২) ও মামুন (৩০)। পাঁচ ধর্ষকের মধ্যে প্রেমিক বাদশা পাকুন্দিয়া উপজেলার শালংকা গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালিবের পুত্র, এরশাদ একই গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের পুত্র, রুস্তম শালংকা গ্রামেরই মো. দুলাল মিয়ার পুত্র, নাছিম একই গ্রামের দুলাল মিয়ার পুত্র এবং মামুন ছোট আজলদী গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র।
পরিবার ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া এলাকার ওই কিশোরীর সাথে মাসখানেক আগে মোবাইল ফোনে বাদশা মিয়ার পরিচয় হয়।
পরিচয় থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মোবাইল ফোনে কিশোরীকে বাদশা মিয়া জানায়, পাকুন্দিয়া উপজেলার পুলেরঘাট বাজারে বাদশা মিয়ার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং বিয়ের পর তারা সুখে-শান্তিতেই বসবাস করতে পারবে। প্রেমিকের এই বিয়ের প্রলোভনে বাদশা মিয়ার প্রতি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে কিশোরী। এ পরিস্থিতিতে ১০ই জুন বিকালে বাদশা মোবাইল ফোনে কিশোরীকে ঈদের কেনাকাটা করে দেয়ার কথা বলে। কপট প্রেমিকের ফাঁদে পা দিয়ে সরল বিশ্বাসে কিশোরী বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাদশা মিয়ার সঙ্গে দেখা করে। পরে মোটর সাইকেলযোগে কিশোরীকে বাদশা পাকুন্দিয়া বাজারে নিয়ে যায়। সেখানে কিছু কেনাকাটা ও সময়ক্ষেপনের পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে কিশোরীকে পাকুন্দিয়া উপজেলার ছোট আজলদী গ্রামের ঈদগাহ্‌ মাঠ সংলগ্ন একটি কলাবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করা বাদশা মিয়ার চার বন্ধু এরশাদ, রুস্তুম, নাছিম ও মামুনের সহায়তায় ওড়না দিয়ে কিশোরীর মুখ বেঁধে পাঁচজনে মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে রোববার ভোর রাত তিনটার দিকে কিশোরীকে কলা ক্ষেতে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকেরা। ধর্ষিতা হেঁটে কোনরকমে পার্শ্ববর্তী পুলেরঘাট বাজারে গিয়ে বাজারের নৈশ প্রহরীকে ঘটনা খুলে বলে। পরে নৈশপ্রহরী বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাদাতকে জানালে তিনি কিশোরীর এক ভগ্নিপতিকে ফোন করে ঘটনা জানান। স্থানীয় চৌদ্দশত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবি সিদ্দিক খোকার সহযোগিতায় পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে রোববার দুপুরে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। গণধর্ষণের বিষয়টি র‌্যাব জানতে পেরে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা শুরু করে। মঙ্গলবার সকালে র‌্যাবের অভিযানে অভিযুক্ত পাঁচজনের মধ্যে মূল অভিযুক্ত বাদশা মিয়াসহ তিনজন গ্রেপ্তার হয়। র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক লে. এম শোভন খান, (এস), বিএন জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য দু’জনকে ধরতেও র‌্যাব কাজ করে যাচ্ছে।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. আজহারুল ইসলাম সরকার পিপিএম জানান, এ ঘটনায় কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর