কদিন পরেই ঈদ। বাড়ির সবাই নতুন নতুন পোশাক কিনে আনছে। আমাদের খেলার সঙ্গীরা নতুন পোশাক পেয়ে খুশি। কিন্তু আমাদের তো বাবা নেই। টানা ৭ বছর ধরে ঈদের দিনে নতুন জামা কাপড় নিয়ে ঈদ করা হয় না। আসলেই আমাদের বাবা নেই তো ঈদের নতুন পোশাক দিবে কে? কথাটি বললো ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মৃত হারুন বেপারীর ছেলে সাকিব (৭) ও সুমাইয়া বেগম (১০)। গতকাল মঙ্গলবার রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অশ্রুঝরা চোখে অন্যান্য ছেলে মেয়েদের নতুন পোশাক ও খেলনা দেখে এসব কথা বলেন। এসময় দেখা যায়, অন্য ছেলে মেয়েদের ঈদের আগাম আনন্দে গ্রামে ছোট ছোট দোকান গিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলনার জিনিস কিনে খেলা করছে।
কিন্তু ২ ভাই- বোন অশ্রুঝরা চোখে তাকিয়ে আছেন। জানতে চাইলে শিশু সুমাইয়া বেগম বলেন, আমাদের বাবা নেই, মা ঢাকায় থাকে। ঈদে বাড়িতে আসলেও আমরা নতুন জামা কাপড় কিনতে পারি না। আমার সব বন্ধুরা নতুন পোশাক গায়ে দিয়ে ঈদে যায়। আর আমরা ২ ভাই বোন ছেঁড়া ও পুরানো জামা কাপড়ে ঘরে বসেই ঈদ করি। পুরাতন জামার কারণে এইদিন আমাদের সঙ্গে কেউ খেলতে চায় না। আমাদের বাবা নেই নতুন পোশাক দিবে কে? ছোট ছেলে সাকিব বলেন, বাবাও নেই ঈদও নেই। সুমাইয়া মা সুরমা বেগম জানান, ৭ বছর পূর্বে স্বামী মারা যান। এর পরে থেকেই ২ সন্তান নিয়ে কখনো ঢাকায়, কখনো গ্রামে খুব কষ্টে দিন যাপন করেন। ঈদের দিনেও সন্তানদেরকে নতুন পোশাক কিনে দিতে পারি না। দু’মুঠো খাবার জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমন অনেক দিন আছে দিনে একবেলাও খেতে পারি না। কি করে সন্তানদের ঈদেও পোশাক কিনে দেই। আজ যদি ওদের বাবা বেঁেচ থাকতো তাহলে এতো কষ্ট হতো না।