× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচনী ঈদ নিয়ে ‘সরগরম’ সিলেট

শেষের পাতা

ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
১৪ জুন ২০১৮, বৃহস্পতিবার

সিলেটে এবারের ঈদ ব্যতিক্রমী। গতকালই ঘোষণা হয়েছে তফসিল। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের যাত্রা শুরু। জার্নি শেষ হবে ৩০শে জুলাই। দরোজায় কড়া নাড়ছে ঈদও। ফলে এবারের ঈদ সিলেটে  পরিণত হয়েছে নির্বাচনী ঈদে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা গরিবদের দান খয়রাতে ব্যস্ত। মানুষের সুখ-দুখের সাথী হিসেবে প্রার্থীরা রয়েছেন মাঠে।
নির্বাচন আর ঈদে একাকার হয়ে গেছেন সবাই। কাউন্সিলরদের কেউ বিতরণ করছেন- কাপড়, কেউবা টাকা আবার কেউ খাবার সামগ্রী। সবার টার্গেট সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে এবার ঈদ অন্য এক আবহ তৈরি করেছে নগরীতে। গতকাল আনুষ্ঠানিক তফশিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। অবশ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার আগেই নির্বাচনী টাইমলাইন ঘোষণা করেছিলেন। এ কারণে সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটিয়ে প্রার্থীরা আগে থেকেই মাঠে সক্রিয়। এবার রমজানের ইফতারিও কেটেছে নির্বাচনী আমেজে। সিলেট সিটি করপোরেশনের এখনো মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তাকে পদত্যাগ করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। বর্তমান মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে তিনি নির্বাচনকেন্দ্রিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবারও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। বর্তমান মেয়র হিসেবে তার সুবিধা বেশি। এই সুবিধাকে তিনি কাজে লাগিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে এগিয়ে থাকার চেষ্টা করছেন। ওদিকে সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানও বসে নেই। তার ড্রইংরুম সরগরম। সাবেক মেয়র কামরান এখন ঈদ সামনে রেখে বিভিন্ন সামাজিক, ব্যক্তি উদ্যোগে ঈদবস্ত্র, খাবার বিতরণসহ নানা অনুষ্ঠানে শরিক হচ্ছেন। কামরান জানালেন- ঈদ এলেই সিলেটে সামাজিকতা বাড়ে। এই সামাজিকতায় অংশ নেয়া সবার দায়িত্ব। সিলেটে এবার সিটি নির্বাচন জমিয়ে তুলেছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুবেল আহমদ জানিয়েছেন- নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীদের চেয়ে ভোটাররা সবচেয়ে বেশি সরব। এবার মানুষ পরিবর্তন চায়। এই পরিবর্তনের অঙ্গীকার শুরু হবে এবার ঈদ থেকে। তিনি বলেন- নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার দান-খয়রাত বেড়েছে। এতে করে ভোটারদের মধ্যে ঈদের অন্য আবহ দেখা দিয়েছে। এদিকে ঈদের যাকাতের কাপড় ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ নিয়ে নানা ঘটনা ঘটছে। গতকাল সিলেট নগরীর পশ্চিম কাজলশাহ এলাকায় যাকাতের কাপড় বিতরণ নিয়ে সৃষ্ট ঝামেলাকে কেন্দ্র করে একটি পরিবারের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার স্বীকার হন পশ্চিম কাজলশাহ এলাকার মৃত মখলিছ মিয়ার পরিবারের সদস্যরা। সোমবার বিকাল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মখলিছ মিয়ার স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগম জানান- সিটি করপোরেশনের ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এস এম আবজাদ হোসেন আমজাদের পক্ষ থেকে সোমবার বিকালে পশ্চিম কাজলশাহ এলাকার পীর মঞ্জিলে টুকেন অনুযায়ী যাকাতের কাপড় বিতরণ করা হয়। জ্যোৎস্না বেগম দুটি টুকেন দিয়ে তার মেয়ে মিথিলা আক্তারকে সেখানে কাপড় আনতে পাঠান। টুকেন দিয়ে কাপড় নিয়ে মিথিলা পীর মঞ্জিল থেকে বাসায় ফিরে আসে। কাপড় নিয়ে বাসায় আসার কিছুক্ষণ পর অজ্ঞাত কারণে কাউন্সিলরের সমর্থক আসুক, টিপুসহ কয়েকজন তাদের বাসায় এসে কাপড় ফেরত চায়। তখন জ্যোৎস্না বেগম কাপড় ফেরত দিতে বিলম্ব করলে তাকেসহ তার ছেলে এবং মেয়েকে তারা মারধর করে। মারধরের ঘটনা নিয়ে জ্যোৎস্না বেগম তাদের বিচার-সালিশ ডাকার কথা বললে তারা আবারো ক্ষিপ্ত হয়। এ সময় জ্যোৎস্না বেগমের বাসার মেইন গেট, আসবাপত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করে এবং আবারো তাদের মারধর করে। এ সময় জ্যোৎস্না বেগম (৩৮), তার ছেলে রানা এবং মেয়ে মিথিলা আক্তার (৯) আহত হন। জ্যোৎস্না বেগম বলেন- ‘আমি গরিব বলে অকারণে আমাকে এবং আমার ছেলে মেয়েকে তারা মারধর করল। কেউ বিচার না করলেও আল্লাহ এর বিচার করবেন।’ এ ব্যাপারে কাউন্সিলর আবজাদ হোসেন আমজাদ এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- ‘যাকাতের কাপড় বিতরণকালে মহিলার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। যা পরে প্রতিবেশীদের নিয়ে সেখানেই মীমাংসা করে দেয়া হয়েছে। মহিলা যদি সমাধান না বুঝে তাহলে তো আমার কিছু করার নেই।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর