২০২৬ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ৪৮ দল নিয়ে। নিশ্চিতভাবেই বাড়ছে ম্যাচের সংখ্যা, টুর্নামেন্টের পরিধি। এতবড় টুর্নামেন্ট এককভাবে কেউ আয়োজন করতে পারবে না বলেই নিজেদের প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে উত্তর আমেরিকার তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকো। শেষ পর্যন্ত ফিফা কংগ্রেসে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে আফ্রিকান একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মরক্কোকে হারিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজনের দায়িত্ব পেলো যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকো এবং কানাডা। এই প্রথম তিন দেশ মিলে কোনো বিশ্বকাপের আয়োজক হতে যাচ্ছে। মস্কোয় অনুষ্ঠিত ফিফার কংগ্রেসে ভোটাভুটিতে জয়লাভ করার পরপরই আনন্দে ফেটে পড়ে কনকাকাফ অঞ্চলের প্রতিনিধিরা। তিন দেশের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়ার মতোই একটি আয়োজন করতে চান তারা।
দুই দেশের আয়োজনে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ দেখা গেছে ২০০২ সালে। সেবার জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া মিলে বিশ্বকাপের আয়োজন করে চমকে দিয়েছিল সবাইকে।
এরপরই ফিফা বলেছিল, এমন যৌথ আয়োজনে বিশ্বকাপ আর নয়। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ফিফা। বিশ্বকাপের দল বাড়াতেই তিন দেশের বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। এই টুর্নামেন্ট দিয়েই প্রথমবারের মতো তিন আয়োজক দেশ দেখবে বিশ্বকাপ।
ফিফা সদস্য হিসেবে মোট ২১৩টি দেশ থাকলেও বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক দেশ বাছাইয়ের ভোট দিতে পারে শুধুমাত্র ২০০টি দেশ। ২০০ ভোটের ১৩৪টিই পড়ে আমেরিকা, মেক্সিকো আর কানাডার বাক্সে। বাকি ৬৬ ভোটের ৬৫টি পড়ে আফ্রিকান দেশ মরক্কোর বাক্সে। একমাত্র দেশ হিসেবে টোগো কোনো পক্ষেই ভোট দেয়নি। অর্থাৎ ৬৭ শতাংশ ভোট পেয়ে মরক্কোকে হারিয়ে দেয় উত্তর আমেরিকার তিন দেশের যৌথ কনসোর্টিয়াম। ৩ দেশে মোট ২৬টি স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে। যেখানে মেক্সিকো আর কানাডার ৩টি করে ৬টি স্টেডিয়াম এবং বাকি ১৮টি স্টেডিয়াম যুক্তরাষ্ট্রে। ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস, লস এঞ্জেলেস অথবা নিউইয়র্কে।
২০২৬ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ৪৮টি দল অংশ নেবে। ম্যাচসংখ্যা ৮০টি যার মধ্যে ফাইনালসহ মোট ৬০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রে। ১০টি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে কানাডা ও মেক্সিকোতে। এই তিন দেশের মধ্যে কানাডা কখনো বিশ্বকাপের আয়োজন করেনি। ১৯৯৪ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। মেক্সিকো ১৯৭০ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ।