পর্তুগালের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের আগে স্পেন শিবিরে বিরাজ করছে অস্থিতিশীল অবস্থা। গতকাল হুলেন লোপেতেগিকে কোচের পদ থেকে বরখাস্ত করে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ)। বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি করায় লোপেতেগির ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেয় আরএফইএফ। সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সভাপতি
লুইস রুবিয়ালেস বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়ে জাতীয় দলের কোচকে বরখাস্ত করেছি। এ সিদ্ধান্ত নেয়াটা কঠিন ছিল। তার জন্য শুভকামনা রইলো। দলের কোচ হিসেবে তার অর্জনের জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে চাই। আমি এটিকে বিশ্বাসঘাতকতা মনে করি না।
স্পেনের ডাগআউটে লোপেতেগি অসাধারণ কাজ করেছে।’ স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে আসে লোপেতেগির অপসারণ ঠেকাতে অধিনায়ক সার্জিও রামোসসহ সিনিয়র খেলোয়াড়রা চেষ্টা করেন। স্পেনের ক্রীড়া পরিচালক ফার্নান্দো হেইরো ও অনূর্ধ্ব-২১ দলের কোচ আলবার্ট কেলাদেস বিশ্বকাপ শেষ করা পর্যন্ত স্পেনের দায়িত্ব নিতে পারেন। আগামী ১৫ই জুন পর্তুগালের বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচ দিয়ে এবারের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করবে স্পেন। গত মঙ্গলবার জিনেদিন জিদানের উত্তরসূরি হিসেবে তিন বছরের চুক্তিতে লোপেতেগির নাম ঘোষণা করে রিয়াল। বিশ্বকাপ শেষে গ্যালাকটিকোদের কোচের দায়িত্ব নেয়ার কথা ছিল তার। ২০১৬ ইউয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের (ইউরো) পর ভিসেন্তে দেল বস্কের স্থলাভিষিক্ত হন ৫১ বছর বয়সী লোপেতেগি। এ স্প্যানিয়ার্ড কোচের অধীনে একটি ম্যাচও হারেনি স্পেন। ২০১৬ ইউরোর পর একমাত্র দল হিসেবে অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপে পা রাখে স্পেন দল। ২০ ম্যাচের ১৪টিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লোপেতেগির শিষ্যরা। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে গত মাসেই স্পেনের সঙ্গে ২০২০ ইউরো পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করেছিলেন লোপেতেগি। স্পেনের কোচ হওয়ার আগে তিনি দুই বছর পর্তুগিজ ক্লাব পোর্তোর ডাগআউট সামলান। ২০১০ থেকে চার বছর স্পেনের বয়সভিত্তিক দলের কোচ ছিলেন লোপেতেগি। তার আগে ২০০৮ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের ‘বি’ দলের কোচ ছিলেন তিনি।