× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

একজন চিত্রপরিচালকের সাফল্য ও ফুটবলপ্রেমীদের বিষন্ন মুখ

ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯

কাফি কামাল
১৭ জুন ২০১৮, রবিবার

ভিনগ্রহের ফুটবলার খ্যাত লিওনেল মেসির পেনাল্টি শট আটকে দেয়ার ঘটনাই এখন পর্যন্ত রাশিয়া বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় আপসেট। চলতি দশকের বিশ্বসেরা ফুটবলার মেসিকে বল নিয়ে গোলমুখে এগিয়ে আসতে দেখলে বিশ্বের যে কোন গোলরক্ষকের মনোবলই অর্ধেক হয়ে যায়। সেখানে পেনাল্টি শট নিতেই এগিয়ে আসছেন তিনি। কিন্তু কী যেন হয়ে গেলো শনিবার। লিওনেল মেসির পেনাল্টি শট আটকে দিলেন বিশ্বফুটবলের প্রেক্ষিতে একজন অখ্যাত গোলরক্ষক ৩৪ বছর বয়স্ক হ্যাননেস থর হ্যালদরসন। কয়েক মুহুর্তের জন্য স্তব্দ হয়ে গেলো মস্কোর স্পার্টাক স্টেডিয়াম। ঘটনার অবিশ্বাস্যতায় চোখ কচলে ফের টিভির পর্দায় চোখ রাখলেন বিশ্বের নানাপ্রান্তের কোটি কোটি দর্শক। পেনাল্টি মিস অস্বাভাবিক কিছু নয়।
কিন্তু যার পায়ের কারিকুরি দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব, যার গোল উদযাপনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে পুরোপৃথিবীর ফুটবলপ্রেমীরাÑ তাদের জন্য এ মিসের হতাশা ভাষাহীন।
বিশ্বকাপের আসরে প্রথম পা রাখা আইসল্যান্ডের এ গোলরক্ষক আদতে একজন চিত্রপরিচালক। ফুটবলে ক্যারিয়ার গড়ার আগে তিনি দেশটির সাগাফিল্ম কোম্পানীতে কাজ করেছেন। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের চেহারা ও আচরণে চিত্রনাট্যের নায়ক-নায়িকাদের অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলাই হচ্ছে একজন দক্ষ চিত্রপরিচালিকের সাফল্য। পর্দার সে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের চেহারায় সে অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলতে এখন খুব একটা দক্ষতার স্বাক্ষর রাখতে না পারা হ্যালদেরসন বিশ্ববাসীর হতাশার এক বাস্তব অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলেছেন বিশ্বমঞ্চে। রুঁখে দিয়েছেন লিওনেল মেসির পেনাল্টি, ভেঙে দিয়েছেন ফুটবলপ্রেমীদের মন। ফুটবলপ্রেমীদের হতাশাকে প্রকাশ করেছেন তাদের বিষণœ মুখে। একটি পেনাল্টি রুখে দিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের কাছে নায়ক হয়ে উঠা হ্যালদরসনের কাছে এটি নিঃসন্দেহে তার ফুটবল জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দময় ঘটনা। মেসির পেনাল্টি আটকে দেয়ার পিছনে কতটা ভাগ্য আর কতটা প্রস্তুতি? হ্যালদেরসন বলেছেন, ‘প্রথম ম্যাচেই মেসির পেনাল্টি কিক বাঁচাব, এটা স্বপ্নেই সম্ভব। তবে আমি অনেক প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিলাম। মেসির পেনাল্টি মারার ভিডিও দেখে তৈরি হয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিল, কিকটা মেসি ওদিকেই নেবে।’ অন্যদিকে অন্যদিকে বিশ্বের বাঘা বাঘা গোলরক্ষকদের বোকা বানানো মেসির জন্য এ মিস নিঃসন্দেহে এক অমোচনীয় যন্ত্রণা। শনিবার মস্কোর স্পার্টাক স্টেডিয়ামে খেলা শেষে মেসির চেহারায় যে বিষণœ ফুটে উঠেছিল তা যেন সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদেরই বিষণœ চেহারার প্রতিরূপ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর