ফেভারিটদের মতোই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো বেলজিয়াম। সোমবার ফরোয়ার্ড রুমেলু লুকাকুর জোড়া গোলে নবাগত দল পানামাকে ৩-০ গোলে হারায় তারা। এ নিয়ে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে টানা ১০ ম্যাচে অপরাজিত রইলো বেলজিয়াম। এর মধ্যে ৫ ম্যাচে জয় ও ৫ মাচে ড্র করে তারা। দলের এমন জয়ে সন্তুষ্ট কোচ রবার্তো মার্টিনেজ। ম্যাচশেষে তিনি বলেন, আমরা শুরুর ১৫ মিনিট ভালো খেলেছি। পরে পানামা কিছুটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে। যা নিয়ে কিছুটা ভয় পেয়েছিলাম আমরা।
কিন্তু আমি খুবই খুশি দলের এমন পারফরম্যান্সে। প্রথমার্ধে পানামা যথেষ্ট ভালো খেলেছে। কিন্তু আমাদের দলের খেলোয়াড়রা পুরো ৯০ মিনিটই ভালো খেলেছে। এদিন রাশিয়ার সোচিতে ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনো গোল করতে পারেনি গত বছর বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে ইউরোপিয়ান অঞ্চল থেকে সর্বাধিক ৪৩ গোল করা বেলজিয়াম। ম্যাচের ৪৭তম মিনিটে ফরোয়ার্ড দ্রিস মার্টেন্সের দারুণ গোলে এগিয়ে যায় বেলজিয়াম। দেশটির ইতিহাসে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে টানা দুই বিশ্বকাপে গোলের কৃতিত্ব দেখালেন তিনি। এর আগে ১৯৯৮ ও ২০০২’র আসরে গোল করার নজির রয়েছে সাবেক মিডফিল্ডার মার্ক উইলমোটসের। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে এটা মার্টেন্সের ১৫তম গোল। ৬৯তম মিনিটে দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড রুমেলু লুকাকু। এর ছয় মিনিট পর দলের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। দলের জার্সি গায়ে শেষ ১৩ ম্যাচে ১১ গোল করলেন লুকাকু। আর দেশের হয়ে ৭০ ম্যাচে সর্বাধিক ৩৮ গোলের রেকর্ডও রয়েছে তার। এ ম্যাচে পাঁচ হলুদ কার্ড দেখে পানামার খেলোয়াড়রা। যা ২০১০’র আসরের ফাইনালের পর কোনো এক দলের খেলোয়াড়ের সর্বাধিক হলুদ কার্ড দেখার রেকর্ড। এর আগে ২০১০’র ফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে ৭ বার হলুদ কার্ড দেখেছিলেন নেদারল্যান্ডসের খেলোয়াড়রা।
আগামী ২৩শে জুন নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তিউনিশিয়ার মুখোমুখি হবে বেলজিয়াম। পরের দিন ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে আসা পানামা।