ইসরাইলের সঙ্গে খেলা বাতিল করায় বিশ্বকাপে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করেছেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। কোনো গোঁড়া ধর্মীয় নেতা নন; এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন খোদ ইসরাইলের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিক ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগদর লিবারম্যান। শনিবার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম খেলায় আইসল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ এ ড্র করে আর্জেন্টিনা। ওই ম্যাচে একটি পেনাল্টি মিস করেন মেসি। ম্যাচ শেষে লিবারম্যান টুইট করে বলেন, ‘এই ম্যাচ দেখিয়ে দিল ইসরাইলের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা কতটা দরকার ছিল মেসির।’ এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল। খবরে বলা হয়, কয়েকদিন আগেই বিশ্বকাপের পূর্বে ইসরাইলে গিয়ে দেশটির ফুটবল দলের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল আর্জেন্টিনার। প্রথমে ম্যাচটি ইসরাইলের হাইফায় হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইসরাইলি সংস্কৃতিমন্ত্রী পরে ম্যাচটিকে সংবেদনশীল নগরী জেরুজালেমে স্থানান্তর করেন।
তখনই এ নিয়ে আপত্তি জানায় ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশন। ফিলিস্তিনের যুক্তি ছিল, মেসির তারকাখ্যাতিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের কাজে ব্যবহার করতে চায় ইসরাইল। ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট জিবরিল রাজুব আরব ও মুসলিম ফুটবল ভক্তদের প্রতি মেসির ছবি ও জার্সি পোড়ানোর আহ্বান জানান। তীব্র আপত্তি ও প্রতিবাদের মুখে শেষ অবদি ম্যাচ বাতিল করার ঘোষণা দেয় আর্জেন্টিনা।
দৃশ্যত, লিবারম্যান এখন বলছেন, ওই ম্যাচ বাতিল না হলে মেসি হয়তো ভালো প্রস্তুতি নিতে পারতেন। তবে ইসরাইলের মতন নি¤œ সারির ফুটবল দলের সঙ্গে এক ম্যাচ খেলা কিংবা না খেলায় মেসির মতো খেলোয়াড়ের দক্ষতায় কোনো উঠানামা হতো কিনা, সেটি নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। দ্বিতীয়ত, মেসি পেনাল্টিতে খুব দক্ষও নন। ক্যারিয়ারে তিনি ২০ বার পেনাল্টি মিস করেছেন। বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার হয়ে তিনি সর্বশেষ যেই ৭টি পেনাল্টি নিয়েছেন, তার ৪টিতেই ব্যর্থ হয়েছেন। এই আর্জেন্টাইন তারকার অবিশ্বাস্য প্রতিভায় সম্ভবত এই একটি মাত্রই ত্রুটি রেখে দিয়েছেন বিধাতা।