দুই কোরিয়ায় বিভক্ত হয়ে থাকা একই পরিবারের সদস্যদের পুনর্মিলনীর আয়োজন করতে বৈঠকে বসেছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিরা। শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার মাউন্ট কুমগ্যাং পর্যটন অঞ্চলে এ বিষয়ে আলোচনা করেন দু দেশের প্রতিনিধিরা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, কোরিয়া যুদ্ধের ফলে উপদ্বীপটিতে দুইটি পৃথক দেশের সৃষ্টি হয়। অনেক পরিবার দুই দেশে বিভক্ত হয়ে যায়। ১৯৮৮ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে এসব পরিবারের জন্য সরকারিভাবে পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়। তবে পরস্পরের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত তিন বছরে কোন পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয় নি। সম্প্রতি কোরিয়া উপদ্বীপে স্থিতীশীলতা ফিরে এসেছে।
ঐতিহাসিক বৈঠকে বসেছেন দুই কোরিয়ার নেতা। দৃশ্যপটে পরিবর্তন এসেছে। এবার বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলোর মধ্যেও পুনর্মিলনের আয়োজন করা হচ্ছে। শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার একটি পর্যটন অঞ্চলে বৈঠকে বসেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। এতে অংশগ্রহণকারী উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতা প্যাক ইয়ং ইল বলেন, পারস্পরিক বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে আমাদের আজ একটি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের উচিত অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে নেতাদের দেখানো পথ অনুসরণ করা। আর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিরা মানবিক ও মানবাধিকারের দিক বিবেচনা করে বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলোর মধ্যে পুনর্মিলনের আহবান জানিয়েছেন ।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৫ সালে উভয় দেশের মধ্যে সর্বশেষ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। বেশিরভাগ পুনর্মিলনেই বিচ্ছিন্ন স্বজনরা পরস্পরকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্বজনদের খোজখবর নেন তারা। ১৯৮৮ সাল থেকে এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে।