× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রোববার থেকে গাড়ি চালানোর অনুমতি পাচ্ছেন সৌদি নারীরা

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) জুন ২২, ২০১৮, শুক্রবার, ১২:৫০ অপরাহ্ন

রোববার থেকে সৌদি আরবের রাজপথে গাড়ি চালানোর অনুমতি পাচ্ছেন নারীরা। ইতিমধ্যেই কর্তৃপক্ষ কয়েক হাজার নারীকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করেছে। এর মধ্য দিয়ে রক্ষণশীল দেশটির নারীরা আরেকটি কঠোর বিধি-নিষেধ থেকে মুক্ত হতে চলেছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
খবরে বলা হয়, ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সংস্কার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এবার সৌদি নারীদের আনুষ্ঠানিকভাবে রাজপথে গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়া হচ্ছে। বহুদিন ধরেই দেশটিতে নারীদের ওপর কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ রয়েছে। তার অবসান ঘটিয়ে কয়েক হাজার সৌদি নারী রোববার গাড়ি নিয়ে রাজপথে নামবেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে নারী স্বাধীনতায় নতুন পর্দা উন্মোচন হতে চলেছে।
সেখানকার নারী অধিকার কর্মী হানা আল খামরি বলেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। যা নারীদের অবাধ চলাচলের জন্য অপরিহার্য ছিল। হানা আল খামরি সৌদি আরবে নারীদের সাংবাদিকতা নিয়ে একটি বই লিখেছেন। দ্রুতই সেটি প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, সৌদি আরবের নারীরা ‘পিতৃতান্ত্রিক’ কাঠামোর অধীনে দিনাতিপাত করেন। গাড়ি চালানোর অনুমতি পাওয়ায় এখন থেকে নারীরা সামাজিক ও লিঙ্গ বৈষম্য মোকাবেলা করতে সক্ষম হবেন। কেননা এতে তাদের ব্যক্তি স্বাধীনতা ও অবাধ চলাচলের সুযোগ নিশ্চিত হবে। সৌদি আরবের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক অ্যারাবিয়া ফাউন্ডেশনের সিনিয়র বিশ্লেষক নাজহ আল ওতাইবি বলেন, সৌদি নারীদের জন্য এটি পরিত্রানের মতো। তারা ন্যায়বিচারের অনুভূতি পাবেন। তাদেরকে পুরুষের ওপর নির্ভরশীল করে রাখা হয়েছিল। নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ করে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন অসম্ভব করে তোলা হয়েছিল। এর মাধ্যমে তা থেকে সৌদি নারীরা মুক্তি পাবেন।
গাড়ি চালানোর অনুমতি পাওয়ায় উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন নারীরা। রোববার অনেক নারী তাদের স্বজনকে নিয়ে কফি বা আইসক্রিম খেতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেন তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। যা দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর