× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাজেটে কৃষিতে বরাদ্দ কমেছে

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার
২৩ জুন ২০১৮, শনিবার

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এমএ সাত্তার মণ্ডল বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষিতে বরাদ্দ কমেছে। গত বছর কৃষিতে বাজেট ছিল ২২.৬ শতাংশ। এবছর যা ২১.৯ শতাংশ। অন্যান্য কয়েকটি মন্ত্রণালের তুলনায় কৃষিতে বাজেট কম হলেও সেসব মন্ত্রণালয়ে কৃষির কাজ রয়েছে। এছাড়া গত বছর কৃষিতে যা বাজেট ছিল তা থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা আমরা খরচ করতে পারিনি। গতকাল রাজধানীর কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষিতে বরাদ্দ বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। এ আলোচক বলেন, গত বছর কৃষিতে যে বাজেট ছিল তার থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা আমরা খরচ করতে পারেনি। কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়ুক- সেটা আমরা চাই।
বেসরকারির সঙ্গে সঙ্গে সরকারি বিনিয়োগও বাড়ুক। কৃষিতে যে সমৃদ্ধি সেটা আমাদের দারিদ্র্য বিমোচনে প্রধান ভূমিকা রাখছে। আমাদের বিনিয়োগের গবেষণায় বাজেট বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে, কিন্তু আমাদের মানসম্পন্ন গবেষণা নেই। এখানে নজর দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের যন্ত্রের ব্যবহার এবং দক্ষতা বাড়াতে হবে। কেননা সঠিক সময়ে শ্রমিক পাওয়া যায় না। আমাদের যন্ত্র পরিচালনের দক্ষ জনবল বাড়াতে হবে। এবং এটা নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কোয়ালিশন গঠন করা যেতে পারে। সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, কৃষি গবেষণা ফলাফল কৃষক পর্যায়ে সমপ্রসারণ করতেই যদি ১৬ বছর লেগে যায় তাহলে কৃষকরা কাজ করবে কবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তখন আবার ভিন্ন কোনো পদ্ধতির দরকার হবে। আমাদের কৃষি খাতে মাপকাঠি থেকে উদ্যোগী হওয়া বেশি দরকার। তিনি আরও বলেন, কৃষিতে বাজেট ছোট, কিন্তু কাজ অনেক। আমাদের কৃষিতে গ্রোথ এখনো মানসম্পন্ন নয়, মাত্র তিন শতাংশ। এটা কমপক্ষে চার শতাংশ হওয়া দরকার ছিল। ভুট্টা চাষে আমরা সফলতা পেয়েছি। এ ধরনের কৃষি ভালো। এটা স্বাধীনতার পরে প্রথম বাংলাদেশে চাষ করা হয়। এখন কৃষি অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রেখে চলছে। সিনিয়র সচিব ও সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম কৃষিতে বর্তমানে বাজেটের অবস্থা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের ৬০ ভাগ মানুষের জীবন-জীবিকা কোনো না কোনোভাবে কৃষিতে নির্ভরশীল। গত কয়েক বছর ধরে কৃষিতে বাজেট বাড়ানো হলেও ভর্তুকি রয়ে গেছে। আমাদের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না। বাজেটে সব থেকে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে পরিবহন খাতে আর সব থেকে কম হলো কৃষিতে। জিডিপির তুলনায় কৃষিতে ব্যয়-ভর্তুকির হার কমেছে ।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান বলেন, আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা আগে বৃদ্ধি করতে হবে। সেজন্য দরকার টেকসই কৃষি। কৃষিপণ্যে সংগ্রহ মূল্য ও বিক্রি মূল্য নিশ্চিত করতে হবে। না হলে কৃষকরা তাদের আগ্রহ হারাবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির মহাসচিব ড. মো. কামরুজ্জামানসহ কৃষিবিদ, শিক্ষক ও মাঠপর্যায়ের কৃষকরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর