× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাজনীতিতে ভালোবাসা দয়া বা করুণা বলে কিছু নেই

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৩ জুন ২০১৮, শনিবার

রাজনীতি হচ্ছে হিসাবের অঙ্ক। এখানে করুণা করা, ভালোবাসা দেয়া, প্রেম করার কোনো সুযোগ নেই। গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।  দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বর্ধিত সভার কর্মসূচি জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। নির্বাচনের আগে বিএনপি’র সঙ্গে সংলাপের কোনো সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো প্রয়োজন তো দেখছি না। গতবার তারা সেই ট্রেন মিস করেছে। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ডেকেছেন। বেগম জিয়ার প্রত্যাখ্যানের ভাষাটা এখনো কানে ভাসে। কি অশালীন অশ্রাব্য ভাষা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখে।
এটা ভাবতে লজ্জা লাগে। তিনি বলেন, সেদিন তারা বুঝিয়ে দিয়েছে তারা সংলাপ চান না। তারা আলোচনা চান না। এখন সংলাপ চায়, এখন সংলাপের কোনো প্রয়োজন নেই। আগামী নির্বাচনের আগে বিরোধীদের নির্বাচন বানচালের কোনো ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আশঙ্কা তো থাকবেই। তবে এবার আমরা খুব কনফিডেন্ট। এবার গতবারের মতো জ্বালাও-পোড়াও করে কেউ পার পাবে না। আবারও বলছি কেউ যদি ২০০১ সালের রঙিন খোয়াব দেখতে চান সে খোয়াব আর সফল হবে না। অপর এক প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আসলে কী চায়- সেটা আমরা জানতে চাই। বিএনপি কী চায় বিএনপিও জানে না। আমাদের একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে। আমরা কী চাই সেটা বলতে আমাদের কোনো সমস্য নাই। আমরা চাই দেশের সংবিধানের যে অরবিট আছে। এই সাংবিধানিক অরবিটের মধ্যে থেকে সরকার হিসেবে রাজনৈতিক দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করা। বিএনপি’র নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিরপেক্ষতা বলতে কী বুঝাতে চাইছে? কারা নিরপেক্ষ? নিরপেক্ষতার সংজ্ঞা বিএনপি’র কাছে আমি জানতে চাই। কেমন নিরপেক্ষতা? বিএনপি’র নিরপেক্ষতা হলো তাদের দলের লোকজন। আর বাকি সবাই হচ্ছে পক্ষপাত দুষ্ট। তিনি বলেন, তাদের কোন কথা সঠিক? তারা একদিকে বলে নির্বাচনেও যাবে, আরেক দিকে বলে আন্দোলনেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা আসলে কোনটা চায়? তাদের কোনো বিষয়ই পরিষ্কার নয়। তাদের বক্তব্য সকালে এক রকম বিকালে আরেক রকম। এক নেতা বলে এক কথা আরেক নেতা বলে আরেক রকম। কার কথা সঠিক, কোন কথা সঠিক?
নির্বাচন নিয়ে নেতা-কর্মীদের গাইডলাইন দেবেন শেখ হাসিনা
এদিকে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশের সমসাময়িক পরিস্থিতি সম্পর্কে করণীয় নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের দিক-নির্দেশনা দেবেন বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এখানে খুব বেশি আলোচনার সুযোগ থাকবে না। শুধু নেতাকর্মীদের গাইডলাইন দেবেন সভানেত্রী। এটাই হবে বর্ধিত সভার মূল ফোকাস। দলীয় সভানেত্রী কি ধরনের গাইডলাইন্স দিতে পারেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তো নেত্রী জানেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ তিনটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে, সবকিছু মিলিয়ে তিনি একটা দিক-নির্দেশনামূলক ভাষণ দেবেন। নির্বাচন আর দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভিন্নমুখী চ্যালেঞ্জ আছে। ষড়যন্ত্র আছে। চক্রান্ত আছে নির্বাচনের বিরুদ্ধে। দেশের রাজনীতিকে ডি-এস্টাবিলাইজড করতে একটা মহল তৎপর আছে। এসব বিষয়ে দলের নেতাকর্মীদের করণীয় নিয়ে বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৩শে জুন গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় ব্যাপক নেতাকর্মীর উপস্থিতি থাকবে। এতো বড় বর্ধিত সভা আর কখনো হয়নি বলেও জানান তিনি। বর্ধিত সভায় চার হাজার ১শ’ ৫৭ জন নেতা-কর্মী থাকবেন। এরপর সারা দেশের ইউনিয়ন পরিষদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং দলীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের ডাকা হবে। সেখানে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ হাজার উপস্থিতি হবে। এর আগে গত বছরের মে মাসে বর্ধিত সভা হয়েছিল বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে ৬৯ বছরে পদার্পণের মাথায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দৃষ্টিনন্দন আধুনিক ১০তলা ভবন উদ্বোধনের কর্মসূচিকে তাৎপর্যে সমৃদ্ধ করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু কন্যার দৃঢ়তা এবং কমিটমেন্টের জন্য আমাদের কেন্দ্রীয় প্রধান ভবন নির্মাণ হয়েছে। আমরা দলীয় তহবিলের টাকায় এই কার্যালয় নির্মাণ করেছি। এই কার্যালয়টি আধুনিক এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধাসহ নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনের ফলক উন্মোচনের পর নেত্রী সেখানে একটি বকুল গাছের চারা রোপণ করবেন এবং এরপর অফিস ভবনটি পরিদর্শন করবেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, একেএম এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর