গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডকে প্রায় রুখে দিয়েছিল তিউনিশিয়া। ম্যাচের যোগ করা সময়ের গোলে ইংলিশদের উদ্ধার (২-১) করেন অধিনায়ক হ্যারি কেইন। রাশিয়া বিশ্বকাপে এবার বেলজিয়ামকে চ্যালেঞ্জ জানাতে নামছে উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়া। স্পার্তাক স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যা ৬টায় মুখোমুখি হবে বেলজিয়াম ও তিউনিশিয়া। ‘জি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পানামাকে ৩-০ গোলে হারায় বেলজিয়াম। তিনটি গোলই আসে দ্বিতীয়ার্ধে। তিউনিশিয়ার বিপক্ষে সতর্ক বেলজিয়ান কোচ রবার্তো মার্টিনেজ। তিনি বলেন, ‘তিউনিশিয়া অনেক সাহসী ও গতিশীল দল।
তাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে বোঝাপড়া খুব ভালো। কাউন্টার অ্যাটাকে তারা হুমকি হয়ে উঠতে পারে। তিউনিশিয়ার ফুটবল দক্ষতা বেশ কার্যকরী।’ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পয়েন্ট না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়ছেন তিউনিশিয়া কোচ নাবিল মালোউল। তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র করতে পারলে তা চমৎকার ফলাফল হতো। কিন্তু আশা করছি এর ফলে পরবর্তী ম্যাচগুলোতে আমাদের মনোযোগ আরো বেড়ে যাবে।’ ইনজুরির কারণে এ ম্যাচেও বেলজিয়ান সেন্টারব্যাক ভিনসেন্ট কোম্পানি ও থমাস ভারমাইলেনের খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ইংল্যান্ড ম্যাচে কাঁধে চোট পেয়ে বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে গেছেন তিউনিশিয়ার গোলরক্ষক মউয়েজ হাসান। কাগজে-কলমে পরিষ্কার ফেভারিট তারকাসমৃদ্ধ বেলজিয়াম। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই জয় পায় তারা। গত আসরে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে রেড ডেভিলরা। ইউরোপের প্রথম দল হিসেবে ২০১৮ বিশ্বকাপে উত্তীর্র্ণ হয় বেলজিয়াম। ইংল্যান্ড, জার্মানি ও স্পেনের সঙ্গে চতুর্থ দল হিসেবে অপরাজিত থেকে ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্ব শেষ করে তারা। বিশ্বকাপে নিজেদের সবশেষ ১০ ম্যাচে অপরাজিত বেলজিয়াম।
শেষ পাঁচ ম্যাচেই মাঠ ছাড়ে জয় নিয়ে। নিজেদের শেষ সাতটি বিশ্বকাপে একবারই (১৯৯৮) গ্রুপ পর্বে বিদায় নেয় বেলজিয়াম। অন্যদিকে বিশ্বকাপে নিজেদের সবশেষ ১২ ম্যাচে জিততে পারেনি তিউনিশিয়া। প্রথম জয় আসে ১৯৭৮ আসরে মেক্সিকোর বিপক্ষে। বিশ্বকাপে ওটাই ছিল কোনো আফ্রিকান দলের প্রথম জয়। ২০০৬ বিশ্বকাপের পর দুই আসর মিস করা তিউনিশিয়া কখনোই গ্রুপ পর্ব অতিক্রম করতে পারেনি। ২০০৬ ও ২০১০ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে বাদ পড়ে বেলজিয়াম। বিশ্বকাপে বেলজিয়ানদের সেরা অর্জন ১৯৮৬ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। এ নিয়ে চতুর্থবার মুখোমুখি হচ্ছে বেলজিয়াম ও তিউনিশিয়া। আগের তিন দেখায় দুই দলই এক ম্যাচে জয় পায়। বিশ্বকাপে একবারই একে অপরকে চ্যালেঞ্জ জানায় তারা। ২০০২ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি ১-১ সমতায় শেষ হয়।