কোম্পানীগঞ্জে বাটার ফ্লাই নামে কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসহায় জীবনযাপন করছে স্কুলছাত্রী আকলিমা আক্তার (১৯)। সে উপজেলার রামপুর ইউপির ১নং ওয়ার্ডের মৃধা বাড়ির ফলরুল ইসলামের কন্যা এবং স্থানীয় বামনী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে সামান্য জ্বর থেকে সে বাটার ফ্লাই রোগে আক্রান্ত হয়। আক্রান্তের পর আকলিমার বাম হাতে, পিঠে, কোমরে, হাঁটুতে ফোস্কা উঠে পরক্ষণে তা জ্বলে গিয়ে আস্তে আস্তে ঘা হয়ে মাংস জরতে থাকে। বর্তমানে তার বাম হাতে, পিঠে, কোমরে মাংস জরে পড়ে ঘা সৃষ্টি হয়েছে এবং তার হাত, পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। ফোস্কার যন্ত্রণায় মেয়েটি সারাক্ষণ ছটফট করে। খুব কষ্ট লাগলেও কিছুই এখন আর করার নেই বলে জানান তার বাবা-মা। পরিবার সূত্রে আরো জানা যায়, বেকার পিতা শুরুতে পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে কন্যার চিকিৎসা ব্যয় বহন করে।
কিন্তু বর্তমানে অর্থের অভাবে তাদের পক্ষে তাদের প্রিয় সন্তানের উন্নত চিকিৎসার ব্যয় ভার বহন করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম মানবজমিনকে জানান, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এ রোগের নাম সিস্টেমিক লুপাস ইরাই থেসেটো। এ রোগের জন্য ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে উন্নতমানের চিকিৎসা আছে, তবে তা দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয় বহুল। এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে, ৫ থেকে ১০ বছর লাগতে পারে। এই রোগে নিয়ন্ত্রণ যোগ্য, তবে তা একেবারে নিরাময় যোগ্য নয়। আকলিমার মা হোসনে আরা পারভিন জানান, কুমিল্লায় ডা. মুহ. আবদুর রহিম, এমবিবিএস বিসিএস (স্বাস্থ্য)’র তত্ত্বাবধানে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করিয়েছি, কিন্তু আকলিমার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। আবার গত কয়েক দিন আগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারজন ডাক্তারকে দেখিয়েছিলাম। সেখানে উন্নত চিকিৎসার জন্য তারা ঢাকার বড় হাসপাতালে নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন। অসহায় পিতা অশ্রুসিক্ত চোখে বলেন, অর্থের অভাবে ঢাকার হাসপাতালে নিতে পারছি না। বরং যতই দিন যাচ্ছে, ততই শরীরে ফোস্কার সংখ্যা বাড়ছে। অসুস্থ কন্যার চিকিৎসা করার সাধ্য আমার নেই। চোখের সামনে মেয়েটি ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর পথে। এরপরেও বাবা হয়ে কিছুই করতে পারছি না। অসুস্থ আকলিমার পিতা ফখরুল ইসলাম ফারুক এবং মা হোসনে আরা বেগম অসুস্থ কন্যার চিকিৎসার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল ও সমাজের ধনাঢ্য এবং দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতা চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে, ০১৮৪৪-৭৬৪১২০, ০১৭৯-২০৫৭৯৩৭।