আড়াইহাজার অর্থনৈতিক অঞ্চলের জমি অধিগ্রহণের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা জমির মূল্য নির্ধারণ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছে। নতুন আইনকে পাশ কাটিয়ে জমির মূল্য তিন গুণের পরিবর্তে পুরাতন আইনে দেড়গুণ টাকা প্রদানের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের নোটিশ দিয়েছে। জানা গেছে, জাতীয় সংসদে ১৯৮২ সালের ভূমি হুকুম দখল ও অধিগ্রহণ আইন রহিত করে ২০১৭ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর “অধিগ্রহণ” অর্থ ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসন বা উভয়ের বিনিময়ে প্রত্যাশী ব্যক্তি বা সংস্থার জন্য কোনো স্থাবর সম্পত্তির স্বত্ব ও দখল গ্রহণ আইন পাস হয়। এতে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত মালিককে জমির তিন গুণ মূল্য প্রদান করতে হবে। কিন্তু আড়াইহাজার অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের ১৮ই সেপ্টেম্বর ১৯৮২ সালের ভূমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল পুরাতন আইনে জমির মূল্য দেড় গুণ প্রদানের নোটিশ দেয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত মালিকরা আপত্তি করেন। এর মধ্যেই ২১শে মে ১৯৮২ সালের আইনের ৬ ধারা অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণের জন্য জমির মালিকদের দ্বিতীয় দফা নোটিশ প্রদান করে। তাতে বলা হয়েছে মালিকানা সংক্রান্ত কোনো আপত্তি থাকলে তা নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় আপত্তি জানাতে বলা হয়েছে।
গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে বেজা, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এডিসি রাজস্ব বিভাগে যোগাযোগ করা হলে বলা হচ্ছে আপনারা জমির তিনগুণ ক্ষতিপূরণ পাবেন। প্রয়োজনে জাপানিরা আরো অনেক সুবিধা দেবে ইত্যাদি মৌখিক আশ্বাস দিচ্ছেন। কিন্তু তাতেও গ্রামবাসী আশ্বস্ত হতে পারছেন না। তাদের দাবি কেন ২০১৭ সালের সংসদে পাস হওয়া অধিগ্রহণ আইনে কেন নোটিশ না দিয়ে ১৯৮২ সালের হুকুম দখল আইনে নোটিশ দেয়া হলো? প্রশ্ন জমির মালিকদের। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের মহাব্যবস্থাপক বিনিয়োগ উন্নয়ন (বেজা) মো. মনিরুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ২০১৭ সালের জুলাইয়ে যখন নোটিশ ইস্যু করা হয় তখন অধিগ্রহণের জন্য জমির মূল্য দেড়গুণ প্রদানের কথা বলা হয়েছিল। ওই বছর সেপ্টেম্বরে আইন পাস হয়েছে। তাই আইন অনুযায়ী জমির মালিকরা তিনগুণ টাকাই পাবে। এতে জমির মালিকদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই।