× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জলঢাকায় সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা, আহত ১০

বাংলারজমিন

জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
২৪ জুন ২০১৮, রবিবার

জলঢাকায় জমি সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে এক সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষে তিন জন গুরুতর আহত হলে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে আহত তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহতরা হলেন- উপজেলার সিংড়িয়া শৌলমারী মাঝাপাড়ার মৃত তুলা রাম বর্মনের ছেলে অব. প্রাপ্ত হেলথ ইন্সপেক্টর জিতেন্দ্র নাথ বর্মা (৬৮), তার ছেলে জলঢাকা পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর হৃষিকেশ রাজবংশী (৩২) ও ছেলে ঢাকা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের শেষবর্ষে অধ্যয়নরত নিরঞ্জন রাজবংশী (২২)। অন্য আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ঘটনার জানা যায়, উপজেলার শৌলমারী সিংড়িয়ার মাঝাপাড়া এলাকার প্রভাবশালী আফছার ও আজগারের জমি বিগত ১৫ বছর আগে ক্রয় করে একই এলাকার তুলা রাম রায়ের ছেলে জিতেন্দ্র নাথ বর্মণ। ক্রয়কৃত জমিতে দীর্ঘদিন থেকে চাষাবাদ ও ভোগদখল করে আসছে বর্মা পরিবার।
ওই জমি নিজের দাবি করে বিক্রেতারা আবারো পুনঃদখলের চেষ্টা চালায়। এরই সূত্র ধরে, গতকাল সকালে হুমকি প্রদান করলে সংখ্যালঘু পরিবারটি বিষয়টি থানায় অবহিত করে। পরে দ্বিজেন্দ্রের চাষকৃত জমিতে প্রভাবশালীরা দো-গাছি (ধানের চারা) রোপণ করতে গেলে বাধা প্রদান করে। একপর্যায়ে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে তিন জনকে কুপিয়ে জখম করে। ঘটনা জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়টি অস্বীকার করে। এ বিষয়ে কাউন্সিলর রনজিত কুমার রায় বলেন, হামলাকারীরা জামায়াত শিবিরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী। পূর্বশত্রুতার জের ধরে তারা এ হামলা চালিয়েছে। জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, ঘটনা জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ফোর্স পাঠিয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি পূর্বে জানা থাকলে এমন ঘটনা হয়তো ঘটত না। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর