× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিলেটে পুলিশ ছাত্রদল সংঘর্ষ, গুলি, আহত ১৫, আটক ২০

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২৪ জুন ২০১৮, রবিবার

সিলেটে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে। গতকাল বিকালে সিলেট কাজীরবাজারের তোপখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ওই এলাকায় বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের বাসার ভেতরে ঢুকে ছাত্রদল কর্মীদের খোঁজে অভিযান চালায়। পুলিশ দাবি করেছে- সিলেটে নতুন কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে  ছাত্রদলের ভেতরে উত্তেজনা চলছে। বিবদমান দুই অংশ একে অপরের মুখোমুখি অবস্থান নেয়ার কারণে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় ছাত্রদল কর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়। সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
পুলিশ ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন- দুপুরের পর থেকে নগরীর কাজিরবাজার এলাকায় খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের বাসার সামনের এলাকায় সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতারা অবস্থান নেয়। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তারা মিছিল করতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় ছাত্রদলের সিনিয়র নেতা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী মোহাম্মদ সুহেল, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আফসর খান, সাবেক ছাত্রদল নেতা আনোয়ার হোসেন মানিক, রাহিয়ান চৌধুরী রাহি, ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদল নেতা তপু আহমদ খানসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। এতে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের বাসার ভেতরে। তারা বাসার ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশও এ সময় তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড টিলারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী ছাত্রদল কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় তোপখানা এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় কাজিরবাজারের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ করে দেন। প্রায় এক ঘণ্টা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর সিলেটের কোতোয়ালি থানার এসি সাদেক কাউসার দস্তগীর ও ওসি মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে তারা খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের বাসার ফটকের সামনে অবস্থান নেন। সেখান থেকে তারা মুক্তাদিরের বাসা লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের ধাওয়ার মুখে এক পর্যায়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তোপখানা আবাসিক এলাকা দিয়ে চলে যায়। এ সময় পুলিশ ধাওয়া করে আরো কয়েকজনকে আটক করে। সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন পুলিশ তাদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। এমনকি পুলিশ খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের বাসার ভেতরে ঢুকেও হামলা করে। এতে তাদের ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ রয়েছে। তাদের গোপন স্থানে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কোতোয়ালি থানার ওসি মোশারফ হোসেন সন্ধ্যায় মানবজমিনকে জানিয়েছেন- পুলিশ অনেককে গ্রেপ্তার করেছে। রাজপথের দাঙ্গা এড়াতে তাদের বাধা দিলে ছাত্রদল কর্মীরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। এরপর পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে নতুন কমিটির মিছিলকে কেন্দ্র সিলেটে দুপুরের পর থেকে টান টান উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রদলের পদবঞ্চিত বিদ্রোহী গ্রুপের কর্মীরা বন্দরবাজারের রং মহল, মীরাবাজারসহ কয়েকটি এলাকায় জড়ো হয়। নতুন কমিটির পাল্টা জবাব দিতে বিদ্রোহীরা অবস্থান নিয়েছিল। পুলিশের একাধিক টিম নগরীর মীরাবাজার ও বন্দরবাজার এলাকায় অবস্থানকারী ছাত্রদলের কর্মীদেরও তাড়িয়ে দিয়েছে। ছাত্রদলের এমসি কলেজ শাখার আহ্বায়ক বদরুল আজাদ রানা জানিয়েছেন- তাদের কর্মসূচিতেও পুলিশ বাধা দিয়েছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদেরও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলে জানান তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর