× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কঠিন শর্তের জালে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও

শেষের পাতা

নূর মোহাম্মদ
২৪ জুন ২০১৮, রবিবার

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জারি করা হয়েছে এমপিওভুক্ত করার নতুন নীতিমালা। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পৃথক দু’টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই কমিটির যৌথ সভা আগামী ২৫শে জুন সকাল ১১টায় রাজধানীর ব্যানবেইসে অনুষ্ঠিত হবে। দুই কমিটির একটি হলো- শর্ত পূরণ করা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রস্তুতের জন্য ‘অনলাইন অ্যাপলিকেশন গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনা কমিটি’ আর অন্যটি এমপিওভুক্তির বাছাই কমিটি। নীতিমালায় প্রতিষ্ঠান এমপিও ক্ষেত্রে কঠিন শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। এমপিও হওয়ার জন্য প্রায় সাড়ে ৫ হাজার  প্রতিষ্ঠান অপেক্ষায় রয়েছে। এখান থেকে সরকার ১ হাজার প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে।
প্রতিষ্ঠানের মান ও ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠানের এমপিও ঠেকাতে এমন শর্ত দেয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক) জাবেদ আহমেদ। তিনি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান এমপিও হওয়ার শর্ত পূরণ করবে তারাই এমপিও পাবে, এখানে অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই।  এজন্য দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারাই বিষয়গুলো দেখাভাল করবে।

নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হবে। আবেদন করা প্রতিষ্ঠান শর্ত পূরণ করেছে কিনা তা যাচাই করা হবে। নম্বরের ভিত্তিতে শর্তপূরণ করা প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্ত হবে। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, প্রথম পর্যায়ে এক হাজারের বেশি বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাকে এমপিওভুক্ত করার প্রস্তুতি নিয়ে হাঁটছে সরকার। গত ১০ই জুন থেকে এমপিওভুক্তির দাবিতে বেসরকারি নন-এমপিও শিক্ষকরা আন্দোলনে রয়েছেন। জানা যায়, বর্তমানে সরকার স্বীকৃত নন-এমপিও স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার সংখ্যা পাঁচ হাজার ২৪২টি। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৮০ হাজারের ওপর শিক্ষক-কর্মচারী চাকরি করছেন। দীর্ঘদিন ধরে যারা বিনা বেতনে চাকরি করছেন এদের  মধ্যে সব শেষ ২০১০ সালে সরকার এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করে। এরপর থেকে এমপিওভুক্তি বন্ধ রয়েছে। এদিকে গত ১৪ই জুন ঈদের আগের শেষ কর্মদিবসে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এমপিও নীতিমালায় নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কঠিন শর্তের বেড়াজালে পড়তে হচ্ছে। নতুন এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী, কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি পেতে হলে প্রথমে আবেদন করতে হবে। এরপর যাবতীয় তথ্য যাচাই-বাছাই করে এমপিও দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে আবেদনের শর্ত হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার সময়, শিক্ষার্থী সংখ্যা, পরীক্ষার্থী সংখ্যা ও উত্তীর্ণের সংখ্যাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হবে। এসব শর্ত মানতে হলে ১শ’র বেশি নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির আবেদনই করতে পারবে না। নীতিমালা অনুযায়ী, একটি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি পেতে প্রধান চারটি শর্ত রাখা হয়েছে। এগুলোর জন্য রাখা হয়েছে ১০০ নম্বর। এতে একাডেমিক স্বীকৃতির তারিখের জন্য রাখা হয়েছে ২৫ নম্বর। প্রতি দুই বছরের জন্য ৫ নম্বর এবং ১০ বা এর চেয়ে বেশি বছর হলে পাবে ২৫ নম্বর। শিক্ষার্থী সংখ্যার জন্য ২৫ নম্বর। আর শিক্ষার্থীর কাম্য সংখ্যা থাকলে ওই প্রতিষ্ঠান পাবে ১৫ নম্বর এবং এর পরবর্তী ১০ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য পাবে ৫ নম্বর। পরীক্ষার্থী এবং উত্তীর্ণের সংখ্যায়ও শিক্ষার্থী সংখ্যার মতোই একইভাবে নম্বর বণ্টন করা হয়েছে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, একটি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি পেতে কাম্য শর্তাদি অবশ্যই পূরণ করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবকে আহ্‌বায়ক করে একটি কমিটি থাকবে, যারা বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করবে। এরপর ওই কমিটি সরকারের কাছে সুপারিশ করবে। সরকার এমপিওভুক্তির শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আদেশ দিবে। কাম্য যোগ্যতা পূরণ সম্পর্কে নীতিমালায় বলা হয়েছে, সহশিক্ষা ও বালক প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহরে ২০০ ও মফস্বলে ১৫০ শিক্ষার্থী থাকতে হবে। মাধ্যমিকে শহরে ৩০০ ও মফস্বলে ২০০ শিক্ষার্থী থাকতে হবে। স্কুল অ্যান্ড কলেজে শহরে ৪৫০ ও মফস্বলে ৩২০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। অন্যদিকে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে শহরে ২০০ ও মফস্বলে ১৫০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। স্নাতক পাস কলেজে শহরে ২৫০ ও মফস্বলে ২০০ শিক্ষার্থী থাকতে হবে। আর প্রতিটি শ্রেণির পরীক্ষায় শহরে ৬০ ও মফস্বলে ৪০ জন শিক্ষার্থীর অংশ নিতে হবে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে উত্তীর্ণ হতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর