× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বৃটেনের রাজপথে লাখো মানুষের বিক্ষোভ

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) জুন ২৪, ২০১৮, রবিবার, ১২:১৪ অপরাহ্ন

বৃটেনের রাজপথে বিক্ষোভ করলেন লাখো মানুষ। না, কোনো সরকার পতনের আন্দোলনে বিক্ষোভ নয়। ব্রেক্সিট নিয়ে চূড়ান্ত দফায় যে চুক্তি হচ্ছে তা গণভোটে দেয়ার দাবি তুলছেন তারা। ২০১৬ সালের ২৩ শে জুন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে গণভোট দেয় বৃটিশরা। তার দুই বছর পূর্ণ হয়েছে শনিবার। এ দিনটিতে পিপলস ভোট নামের একটি গ্রুপ ওই র‌্যালি বের করে লন্ডনের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে। তারা র‌্যালি করে অগ্রসর হতে থাকে পার্লামেন্টের দিকে। এ সময় দাবি তোলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চূড়ান্ত দফায় প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে যে চুক্তি করছেন তা দ্বিতীয় গণভোটে দিতে হবে অনুমোদনের জন্য।
বলা হয়, চুক্তির বিষয়ে জনগণের সিদ্ধান্ত কি, তা কতটা ভাল বা মন্দ, সে বিষয়ে জনগণকে তার সিদ্ধান্ত জানাতে দিতে হবে। এ র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী লেবার দলের সাবেক সদস্য ও ¯œায়ু বিষয়ক চিকিৎসক অ্যালেস্টার ক্যাম্পবেল, ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ দলের এমপি আনা সোবরি, অভিনেতা টনি রবিনসন। টনি রবিনসন বলেছেন, তিনি এই র‌্যালিতে যোগ দিয়েছেন দেশের প্রতি গভীর ভালবাসা ও সেই ভালবাসার টানে। তিনি আরো বলেন, আমি একজন দেশপ্রেমিক। উল্লেখ্য, দু’বছর আগে অনুষ্ঠিত গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসার পক্ষে ভোট দেন শতকরা প্রায় ৫২ ভাগ ভোটার। বিপক্ষে ভোট দেন শতকরা প্রায় ৪৮ ভাগ। তবে তার পর অনেক পানি গড়িয়ে গেছে টেমস নদীতে। অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। চলছে ব্রেক্সিট নিয়ে দরকষাকষি। তাতে তেরেসা মে ও তার টিম সময় পাবেন ২০১৯ সালের ২৯ শে মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু ব্রেক্সিট নিয়ে তারা কি শুভ বা বৃটেনের জন্য সুখকর এমন কোনো চুক্তি করতে পারবেন! এ নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে কয়েকজন মন্ত্রী যখন বলেছেন, ব্রেক্সিট চুক্তি ছাড়াই বৃটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে পারে, তখন নানা রকম আশঙ্কাই দেখা দেয়। এরই মধ্যে পিপলস ভোট ওই র‌্যালি করলো। তাতে লেবার দলের সাবেক সদস্য অ্যালস্টার ক্যাম্পবেল বলেছেন, আমি সততার সঙ্গে বিশ্বাস করি পিপলস ভোটের এই প্রচারণা রাজনীতিকদেরকে পথ দেখিয়ে দিতে পারে। কারণ, মন্ত্রীপরিষদ সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। পার্লামেন্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। লেবার দলও বিভক্ত। পুরো দেশ বিভক্ত। ব্রেক্সিট গণভোটের পর প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে যখন পার্লামেন্টকে এড়িয়ে এ প্রক্রিয়া সামনে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করছিলেন তখন অনুচ্ছেদ ৫০ সক্রিয় করতে আইনগত চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন ব্যবসায়ী নারী ও ব্রেক্সিট বিরোধী প্রচারণাকারী গিনা মিলার। তিনিও শনিবারের র‌্যালিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাতে তিনি বলেছেন, দু’ বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। কিন্তু এখনও জনগণ পরিষ্কার কিছু জানতে পারছে না। ওদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’কে একটি পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, একটি ‘পূর্ণাঙ্গ বৃটিশ ব্রেক্সিট’ সম্পন্ন করতে। শনিবারের বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক রবার্ট ব্রাডি (৬২)। তিনি কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে কাজ করেন। তিনি বলেছেন, আমার স্ত্রী ইতালিয়ান। আমি কাজ করি কেমব্রিজে। সে কাজ করে রোমে। ব্রেক্সিট সম্পন্ন হলে আমাদের কি হবে!
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর