বরগুনার তালতলী উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে খালেক মৃধা (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো ছয় জন আহত হয়েছেন। শনিবার বিকালে তালতলী উপজেলার গাবতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত খালেক মৃধা গাবতলী গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই জনকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে বরগুনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, তালতলী উপজেলার গাবতলী গ্রামের নিজাম ফকিরের ছেলে হিরন ফকির শুক্রবার বিকালে নারী সংক্রান্ত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী শাহিন (১৫) নামের এক কিশোরকে মারধর করেন। এতে শাহিন অজ্ঞান হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঢাকায় থাকা শাহিনের বাবা খালেক মৃধা (৩৫) শ্রমিকের কাজ ছেড়ে শনিবার সকালে বাড়ি এসে হিরনের কাছে জিজ্ঞাসা করে। এ সময় আরো ক্ষিপ্ত হয়ে হিরন তার লোকজন নিয়ে খালেক মৃধাকে বেধড়ক মারধর করে।
ঘটনাস্থলেই খালেক অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে পার্শ্ববর্তী বগীরহাট ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য নিজাম ফকির (৫৫), তার স্ত্রী খাদিজা বেগম (৪৫), পুত্র হিরন ফকির (১৮), হাবিব ফকির (৬০) ও খলিল ফকির (৩৫) বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন। খবর পেয়ে বরগুনা থানার পুলিশ হাসপাতাল থেকে খাদিজা বেগম ও হাবিব ফকিরকে গ্রেপ্তার করে। আহতাবস্থায় নিজাম ফকির, খলিল ফকির ও হিরন ফকির পুলিশি হেফাজতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে তালতলী থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই জনকে বরগুনা হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।