× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাসিক নির্বাচন /মেয়র প্রার্থীদের ধীরে চলো নীতি

বাংলারজমিন

আসলাম-উদ-দৌলা, রাজশাহী থেকে
২৫ জুন ২০১৮, সোমবার

আসন্ন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থিতা চূড়ান্ত করতে বেশ ক’টা দিন ঢাকামুখী থাকতে হয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীদের। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নাম অনেক আগেই চূড়ান্ত থাকলেও আনুষ্ঠানিকভাবে গত ২১শে জুন শুক্রবার সিলেট, বরিশালের প্রার্থীর সঙ্গে রাজশাহীর প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়। একইভাবে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে মনোনয়নপত্র উত্তোলনের পরদিন তিনি ঢাকায় যান। ঢাকা থেকে ফিরে এসে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন তিনি। তবে আগামী ২৮শে জুন মনোনয়ন জমা দেয়ার পর দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠকের শেষে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় নামবেন বলে জানা গেছে।
বিএনপি সূত্র জানায়, বিএনপির দলীয় মনোনয়নের আশ্বাস পেয়ে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল গতকাল বিকেলে নগরীর সপুরা ও শালবাগান এলাকায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ করেন। এরআগে গত শনিবারও নগরবাসীর কাছে আরেকবার নগরপিতা হওয়ার জন্য ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি। নগরপিতার আসন বিএনপিরই দখলে থাকবে উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক রাসিক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বলেন, বুলবুল ছোট ভাই, সে ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হলেও ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পায় নি।
সরকারের পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা করা হয় নি। আমার বিশ্বাস সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে বুলবুলের জন্য কাজ করবে এবং আবারো তাকে নির্বাচিত করবে। তিনি বলেন, আগামীতে বিজয়ী হয়ে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল নগরীর উন্নয়নে আরো ভালোভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
এদিকে গতকাল আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি নওশের আলী।
আওয়ামী লীগ নওশের আলী বলেন, খায়রুজ্জামান লিটন ঢাকায় থাকার কারণে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার সময় নির্বাচন কার্যালয়ে যেতে পারেন নি। তাই তার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় খায়রুজ্জামান লিটন উপস্থিত থাকবেন বলে জানান তিনি। এরআগে গত বুধবার আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের কাছ থেকে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে নেতাকর্মীরা মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেন। এ সময় সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন ধানমন্ডির ২৭ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। এখনো নেতাকর্মীর উল্লেখযোগ্য অংশ ঢাকায় অবস্থান করায় নির্বাচনী প্রচারণা কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছে। সোমবার তারা রাজশাহীতে ফিরে আসার পর জোর প্রচারণায় দেখা যাবে আওয়ামী লীগকে। মাঠের প্রচারণা ধরে রেখেছেন আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা ‘বদলে দেয়ার প্রতিশ্রুতি’ সংবলিত লিফলেট নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। মেয়র প্রার্থীদের প্রচারণায় কিছুটা ঢিল পড়লেও ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে নগরী। তারা নগরবাসীর দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোটপ্রার্থনার পাশাপাশি দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। সরেজমিনে দেখা গেছে, দুই-চারদিন আগেও সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ব্যানার-বিলবোর্ড, পোস্টার-ফ্যাস্টুনে পুরো নগরী ছিলো আচ্ছন্ন। কিন্তু নির্বাচনী আচরণবিধি মেনেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সকল প্রার্থীর এসব ব্যানার-পোস্টার অপসারণ করা হয়েছে। বাহির থেকে এখন নগরীতে কেউ ঢুকলে আপাত দৃষ্টিতে সিটি নির্বাচনের তেমন কোনো আলামতই খুঁজে পাবেন না। তবে পোস্টার ব্যানার না দেখা গেলেও ভেতরে ভেতরে মেয়র-কাউন্সিরর প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা নগরীর একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রাপ্ত চষে বেড়াচ্ছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর