× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জাদুকরী নাচ-গান তাকে বাঁচিয়ে রাখবে অনন্তকাল

বিনোদন

মোশাররফ রুমী
২৫ জুন ২০১৮, সোমবার

সংগীত দুনিয়ার শীর্ষে থাকা অবস্থাতেই আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তাকে দূরে ঠেলে ২০০৯ সালের ২৫শে জুন মাত্র ৫০  বছর বয়সে পরপারে পাড়ি জমান তিনি। কিন্তু বিশ্বের কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে জায়গা করে আছেন উজ্জ্বল তারা হয়ে। আর তার জাদুকরী নাচ-গান তাকে বাঁচিয়ে রাখবে অনন্তকাল। তিনি মাইকেল জ্যাকসন। পপসম্রাট। সংগীতের এক কিংবদন্তি। পপগানে যার অনবদ্য সৃষ্টি বিশ্বের অন্যকোনো সংগীত তারকার ছিল না, এখনো নেই। তার রেখে যাওয়া গান-নাচ-স্মৃতি নিয়েই গত ৮ বছর ধরে ভালোবাসা ও চোখের জলে একাকার করে তার ভক্তরা পালন করছেন প্রিয় মানুষটির মৃত্যুবার্ষিকী।
আজ দিনব্যাপী ভক্তদের আয়োজনেই বিশ্বব্যাপী উদ্‌যাপন হচ্ছে তার স্মরণ আয়োজন। ১৯৫৮ সালের ২৯শে আগস্ট আমেরিকার ইন্ডিয়ানায় জন্ম মাইকেল জ্যাকসনের। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নিলেও সংগীত বিষয়টি ছিল তার পরিবারের মধ্যেই। খুব ছোটবেলায় বাবার আগ্রহ এবং ইচ্ছাতেই গানে হাতেখড়ি হয় মাইকেলের। এরপর সেই বয়সেই তার পারফরমেন্স দেখে অবাক হয়েছেন সবাই। তখন ধারণা করা হয়েছিল মাইকেল একদিন অনেক দূর যাবেন। হয়েছেও তাই। নিজের অসাধারণ সব গানের মাধ্যমে সারা বিশ্বে সফলতা ও জনপ্রিয়তার সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছেন তিনি। নিজের নজরকাড়া সংগীত-পারফরম্যান্সের মাধ্যমে বিশ্বের কোটি কোটি শ্রোতা-দর্শককে মাতিয়ে গেছেন নিয়মিত। অ্যালবাম, স্টেজসহ সব দিক দিয়েই মাইকেল ছিলেন সবার শীর্ষে। তার সফলতাও ছিল আকাশছোঁয়া। তার প্রকাশিত সব অ্যালবাম ছিল ব্লকবাস্টার। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ নিজের শরীরের রঙটাকে তুলে ধরেছিলেন তিনি। নিজের রূপ, গান এবং পারফরম্যান্সের মাধ্যমে বর্ণবাদীদের মুখভাঙা জবাব দিয়েছেন। জীবিত অবস্থায় সংগীতের বাইরেও মাইকেলের প্রতিটি কাজের প্রতিই ছিল ভক্তদের ব্যাপক আগ্রহ। তার কনসার্টে এসে প্রিয় মাইকেলকে দেখতে পেয়ে জ্ঞান হারিয়েছেন অনেকে, আবার আনন্দে হাউমাউ করে কেঁদেছেনও কেউ কেউ। এমনটা মাইকেলের ক্ষেত্রে ঘটেছে প্রায়ই। তার কনসার্টগুলোর ভিডিও দেখলেই ভক্তদের এসব দৃশ্য চোখে পড়ে। এ ধরনের ঘটনা খুব একটা ঘটতে দেখা যায় না বিশ্বের অন্যকোনো তারকার ক্ষেত্রে। এখানেই মাইকেলের বিজয়। সংগীতের বাইরেও মানবিক গুণ, মেধা, ব্যবহারে অন্য সবার থেকে নিজেকে একেবারেই ভিন্নসত্তা হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলেন তিনি। ৮টি বছর পেরিয়ে গেলেও মাইকেলের জনপ্রিয়তায় বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি। বিভিন্ন জরিপে এখনো তিনি সংগীত ইতিহাসের এক নম্বর তারকা।  মাইকেল জ্যাকসনের গান মানুষকে স্বপ্ন দেখতে শেখায়, শেখায় ভালোবাসতে এবং প্রতিটি মানুষকে সমান অধিকার দিতে। সাধারণ ভক্তদের মতো বিশ্বের জনপ্রিয় বিভিন্ন তারকারও আইডল তিনি। এদের মধ্যে রয়েছেন জেনিফার লোপেজ, ব্রিটনি স্পিয়ার্স প্রমুখ। নারী হয়েও পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে তারা মাইকেলের অনেক স্টাইলই অনুসরণ করেন বলেও জানিয়েছেন। হালের সংগীত ক্রেজ জাস্টিন বিবারের পারফরম্যান্সেও মাইকেলের অনেক অঙ্গভঙ্গির ছাপ লক্ষণীয়। এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্ম, সবার কাছেই মাইকেল হয়ে উঠেছিলেন অনবদ্য স্টাইল আইকন। গত ৮ বছরের মতো আজও মাইকেলের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনটি পালন হচ্ছে বড় আয়োজনে আমেরিকায় পপসম্রাটের জ্যাকসন স্ট্রিটের বাড়িটিতে। শৈশবকাল এই বাড়িতেই কাটিয়েছিলেন মাইকেল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মাইকেল ভক্ত আজ জড়ো হয়েছেন এখানে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একসঙ্গে মোমবাতি জ্বালিয়ে কান্না ভেজা চোখে নীরবতা পালনের মধ্যে চলবে মাইকেলকে স্মরণ। মাইকেলের প্রতিকৃতিতেও ফুলেল শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ভক্তরা। পাশাপাশি বিভিন্ন সংগীত শিল্পীর কণ্ঠে পরিবেশিত হচ্ছে মাইকেলের গান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর