× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পঞ্চগড় যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি বাতিলের আলটিমেটাম

বাংলারজমিন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
২৫ জুন ২০১৮, সোমবার

জটিলতা বেড়েই চলেছে পঞ্চগড় জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলোতে। কোন্দলের কারণে বছরের পর বছর ধরে জেলা বিএনপির কোনো কমিটি না থাকায় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে রয়েছে। নেতৃত্বের অভাবে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ার জন্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় কোনো কর্মসূচি পালিত হয় না। সম্প্রতি কেন্দ্র থেকে জেলা যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি ঘোষণা করা হলেও এ কমিটির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে সাবেক নেতাকর্মীরা। তারা সংবাদ সম্মেলন করে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গঠন করা যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের  অবৈধ ভুয়া কমিটি ৭ দিনের মধ্যে বাতিল করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নতুন কমিটি গঠনের জন্য দাবি জানিয়েছে। অন্যথায় এ কমিটির সকল কার্যক্রম রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস ওয়াহিদ রাসেল ও সাবেক জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মাহামুদর রহমান মাহবুব স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পঞ্চগড় পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রণিক।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সম্প্রতি কেন্দ্রীয়ভাবে মাহফুজার রহমান বাবুকে সভাপতি ও নুরুজ্জামান বাবুকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা যুবদল এবং তাজমিনুল ইসলাম তানুকে সভাপতি ও আনোয়ার হোসেন তাপসকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। সম্পূর্ণ অবৈধ অগণতান্ত্রিকভাবে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার দলের কর্মকাণ্ড গতিশীল করার পরিবর্তে নিজের স্বার্থের জন্য ক্ষমতার ব্যবহার করছেন। তিনি স্থানীয় বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য নীল নকশা অনুযায়ী কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তার নির্দেশে সকল অবৈধ অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সব সময় রুখে দাঁড়িয়েছি আগামীতেও দাঁড়াব। তিনি কেন্দ্রীয় অঙ্গসংগঠনের নেতাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে তালিকা ধরিয়ে দিয়ে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে প্রতিটি অঙ্গসংগঠনে নেশাগ্রস্ত, ছিনতাইকারী উদ্ভট ছেলেদের মূল কমিটিতে দায়িত্ব দিয়েছেন। যাতে বঞ্চিত হয়েছে যোগ্য সাবেক ছাত্র ও যুব নেতা নেতাকর্মী। ঘোষিত যুবদলের সভাপতি মাহাফুজার রহমান বাবুর বাড়ি একটি ইউনিয়নে। তিনি মোটর সাইকেল ছিনতাই চক্র ও হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। যা সবাই জানে। সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বাবুর বাড়িও ওই ইউনিয়নে। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হিসেবে যাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তার বাড়িও গ্রামে এবং সারাদিন জুয়া খেলা তার নেশা ও পেশা। সাধারণ সম্পাদক নবগঠিত ছাত্রদলের সহসভাপতি পদে ছিল। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে কেন্দ্রীয়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখনও তার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি। এমতাবস্থায় সে কিভাবে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক হয় তা বোধগম্য নয়। সংবাদ সম্মেলনে সকল অঙ্গসংগঠনের অবৈধ কমিটি বাতিল করার জন্য তারা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীরের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মেহের আলী, জেলা যুবদলের নতুন কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি ফেরদৌস ওয়াহিদ রাসেল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তবারক হোসেন বিল্টু, জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহামুদার রহমান মাহবুবসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর