ক্রসফায়ার আতঙ্কে ও আত্মগোপনে চাঁদপুরের মাদক ব্যবসায়ীরা। সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর থেকে চাঁদপুরে গত আঠারো দিনের ব্যবধানে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৪ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হবার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছে অনেক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এছাড়াও একাধিক মাদক মামলার আসামি মাদক ব্যবসায়ীরা প্রাণের ভয়ে কোর্টে আত্মসমর্পণ করছে। চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, যারা আগে মাদক বিক্রি করতো, এখন তারা ভালো হবার পথে। কেউ তাবলীগে যাচ্ছে আবার কেউ রোজা-নামাজের মধ্যে আছে। যাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে, ওইসব মাদক বিক্রেতা এখন সবচেয়ে বেশি ‘ক্রস ফায়ার’ আতঙ্কে রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় প্রত্যয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম। জানা যায়, ২৬শে মে রাত ৩টার দিকে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ১০নং আশ্রাফপুর ইউনিয়নের বনরা গ্রামের সুলতার মিয়ার ছেলে মাদক ব্যবসায়ী বাবলু (৩৫) ক্রসফায়ারে নিহত হয়।
তার বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় ৫টি মাদক মামলা রয়েছে। পুলিশ তার বাড়ি থেকে ১১০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। ২৭শে মে রাত পৌনে ৩টায় চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী ইউনিয়নের সালামত উল্যাহর ছেলে মাদক ব্যবসায়ী সেলিম ক্রস ফায়ারে নিহত হয়। সেলিম ৭ মাদক মামলার আসামি। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৪ রাউন্ড গুলি, ৬ রাউন্ড কার্তুজ, ১১০ পিস ইয়াবা এবং ২টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। ২৮শে মে রাতে ফরিদগঞ্জের উপজেলার ১০নং গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পূর্ব গোবিন্দপুর গ্রামের আবদুর রশিদ ছৈয়ালের ছেলে লাল বাদশা ক্রসফায়ারে নিহত হয়। লাল বাদশার বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় ৭টি, চাঁদপুর সদরে ২টি, চট্টগ্রামে ১টিসহ ১০টি মাদক মামলা রয়েছে। পুলিশ নিহত আবু সাঈদ ওরফে লাল বাদশা কাছ থেকে ১১১ পিস ইয়াবা, ১টি একনলা বন্দুক, ৩টি ককটেল, ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
৬ই জুন দিনগত রাত পৌনে ২টায় শহরের পুরাণ বাজার পূর্ব শ্রীরামদী স্টার আলকায়েদ জুট মিলস্ এর দক্ষিণ পাশে বালুর মাঠে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৮ মাদক মামলার আসামী মো. ইউনুছ মিয়াজী ওরফে সুমন (৩৫) নিহত। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ, একটি দেশীয় তৈরি এলজি (পাইপ গান), ৬ রাউন্ড গুলি, ১০৩ পিস ইয়াবা, ২টি বড় ছোরা ও একটি চাপাটি উদ্ধার করে।