× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এরদোগান না মুহাররেম কে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) জুন ২৫, ২০১৮, সোমবার, ৯:২২ পূর্বাহ্ন

কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনুষ্ঠিত হলো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন। এ নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন করেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অনেক বছরের মধ্যে এবারের এই নির্বাচন সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচনে যদি এরদোগান দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য বিজয়ী হন তাহলে তিনি অতিরিক্ত ক্ষমতা অর্জন করবেন। সমালোচকরা বলছেন, নির্বাচিত হলে সেই শক্তি ব্যবহার করে গণতান্ত্রিক শাসনকে দুর্বল করবেন এরদোগান। এক্ষেত্রে তার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন মধ্য-বামপন্থি প্রার্থী মুহাররেম ইনচি। তিনি রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) প্রার্থী।
১৬ বছর ধরে সেখানকার একজন এমপি তিনি। এর আগে ছিলেন একজন শিক্ষক। গত রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নির্বাচনের ফল জানা যায়নি। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টার পর থেকেই তুরস্ক রয়েছে জরুরি অবস্থার অধীনে। সেখানে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের নভেম্বরে। কিন্তু তা এগিয়ে এনেছেন এরদোগান। প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাররেম ইনচি উভয়েই শনিবার বড় ধরনের র‌্যালি করেছেন প্রচারণার শেষদিনে। একে একে অন্যকে তুরস্কের জন্য অযোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছেন। প্রচারণায় মুহাররেম ইনচি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি নির্বাচিত হলে এরদোগানের অধীনে যে স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের অধীনে গেছে তুরস্ক সেখান থেকে দেশকে ফিরিয়ে আনবেন। তিনি বলেছেন, যদি এরদোগান বিজয়ী হন তাহলে আপনাদের ফোনে আড়িপাতা হতেই থাকবে। আতঙ্ক বাড়বে। এদিন ইস্তাম্বুলে তার এ সমাবেশে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ যোগ দেন। তবে এ খবর তুরস্কের মিডিয়াতে প্রচার করা হয়নি সেভাবে। লাখো জনতার ওই সমাবেশে মুহাররেম বলেন, যদি নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন তাহলে স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেয়া হবে। তিনি আরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বলেছেন, নির্বাচিত হলে তিনি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করবেন। তার ভাষায় জরুরি অবস্থা সরকারকে শুধু পার্লামেন্ট এড়িয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অনুমতি দেয়। অন্যদিকে ২০১৪ সালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হন এরদোগান। এর আগে ১১ বছর তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় সহিংসতার একটি কাহিনী তুলে ধরেন। সমর্থকদের কাছে জানতে চান, আমরা কি তাদেরকে (বিরোধী দল) ‘অটোম্যান স্লাপ’ (কাউকে আউট করে দেয়ার জন্য ধাক্কা) দিতে যাচ্ছি? এক্ষেত্রে তিনি মুহাররেম ইনচির দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, পদার্থবিজ্ঞানের একজন শিক্ষক হওয়া এবং একটি দেশ চালানো আলাদা কথা। একজন প্রেসিডেন্ট হতে হলে অভিজ্ঞতা লাগে। এ সময় তিনি দেশের অর্থনীতিকে আরো উন্নত করতে বড় বড় অবকাঠামোগত প্রকল্প হাতে নেয়ার কথা বলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর