× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গাজীপুরের এসপি’র প্রত্যাহার চায় বিএনপি

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৫ জুন ২০১৮, সোমবার

আবারো গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশিদের প্রত্যাহার দাবি করেছে বিএনপি। পুরোনো এই দাবি নিয়ে গাজীপুর সিটির ভোটের দুই দিন আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। পুলিশ সুপার প্রত্যাহার না করলে গাজীপুরে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে দলটি। রোববার দুপুরে সিইসিসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। বেলা দুইটার পর নির্বাচন কমিশনে আসে বিএনপির প্রতিনিধি  দলটি। সিইসিসহ বাকি চার নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে তাদের দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে আবদুল মঈন খান সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের বিষয়ে কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান ও বরকত উল্লাহ বুলু।
মঈন খান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন ভালো নির্দেশনা দিচ্ছে। কিন্তু নির্দেশনা গুলো প্রতিপালিত না হয়ে স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন অঙ্গ নির্দেশনা উল্টো করছে। সরকারের প্রশাসন নির্বাচনের কাজে হস্তক্ষেপ করছে। এখন পুলিশ গিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করলে তো নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মানা হলো না। পুলিশের কাজ তো নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করা না। কিন্তু খুলনায় অনেক জায়গায় দেখা গেছে পুলিশ নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করছে। গাজীপুরের পুলিশ সুপারের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, একজন মানুষের কারণে পুরো নির্বাচন আজ প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে পড়বে। সেই মানুষকে যেন প্রত্যাহার করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে। সেই ক্ষমতা আপনারা ব্যবহার করুন। সেই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করুন। আমরা সেই অনুরোধ করেছি। বিএনপি গাজীপুর নির্বাচনে কারচুপির আশঙ্কা করছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশঙ্কা করছি বলেই তো কথা বলার জন্য এখানে এসেছি। মঈন খান বলেন, সিইসি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা চেয়েছেন। আমরা বলেছি অতীতেও সহযোগিতা করেছি এ নির্বাচনেও সহযোগিতা করবো। বিএনপির এ নেতা বলেন, বর্তমানে নির্বাচনে ভোট কারচুপির ধরন পরিবর্তন হয়েছে। এখন পর্দার অন্তরালে ভোট কারচুপি হচ্ছে। খুলনা সিটি নির্বাচনে আমার এই প্রক্রিয়া দেখতে পেয়েছি। এই প্রক্রিয়া এখন আমার গাজীপুরে লক্ষ্য করতে পারছি। এমন ভোট কারচুপি হলে জাতীয় নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়বে। তিনি আরো বলেন, ইসি যদি তার সঠিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাহলে গাজীপুর সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। কিন্তু সেটি তারা করছে না। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের পুলিশের গাড়িতে চড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা সবাই দেখেছে। আলোচনা হচ্ছে। আমরা চাই গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করা হোক।
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, আজ থেকে ছয়মাস পর জাতীয় নির্বাচন। সরকার সরকারি খরচে প্রচারণা চালাচ্ছে। অথচ বিরোধী দলকে একটি মিটিং করতে দেয়া হয় না, একটা মিছিল করতে দেয়া হয়না। এটা বাস্তবতা। গাজীপুরে মানুষ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে না পারলে এর প্রভাব গাজীপুরে না শুধু, সারা দেশে পড়বে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে। গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা করেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, খুলনার যে ঘটনা ঘটেছে আশঙ্কা না করার কোনো কারণ নেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর