× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পলাতক বাংলাদেশি আল মক্কিকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের পুলিশ

দেশ বিদেশ

মানবজমিন ডেস্ক
২৫ জুন ২০১৮, সোমবার

ভারতে পলাতক বাংলাদেশি নাগরিক আহমাদ বক্স সিদ্দিকী ওরফে আল মক্কি’কে গ্রেপ্তার করেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। হায়দরাবাদে গোয়ালিয়র জেলায় পুলিশ কাস্টডিতে ছিল সে। সেখান থেকে বুধবার পালায় আল মক্কি। এরপর পুলিশ তাকে ধরতে জোর অভিযান চালায়। রোববার তাকে গ্রেপ্তার করে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের একটি বিশেষ দল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে বলা হয়েছে, বুধবার নামাজ আদায়ের কথা বলে আল মক্কি স্থানীয় একটি মসজিদে যায়। এ সময় তার প্রহরায় ছিল দু’জন কনস্টেবল।
কিন্তু মসজিদে গিয়ে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। আল মক্কির বিরুদ্ধে পররাষ্ট্র বিষয়ক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে। এ অভিযোগে তাকে তিন বছরের জেল দেয়া হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহ আগে তাকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়। রাখা হয় গোয়ালিয়রের অধীনে পাদাভ পুলিশ স্টেশনে আটক। এখান থেকে আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কথা ছিল। আহমাদ বক্স সিদ্দিকী ওরফে আল মক্কি’র বাস ঢাকায়। তার বয়স ৩৩ বছর। ভুয়া ডকুমেন্ট ব্যবহার করে গোয়ালিয়র শহর থেকে মোবাইল সিম তুলতে গেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন তার কাছ থেকে জব্দ করা হয় একটি আইফোন ও একটি ট্যাবলেট। পররাষ্ট্র বিষয়ক আইনের বিভিন্ন ধারায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সে নিরাপত্তা রক্ষীদের ১৭০০ রুপি উৎকোচ দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে। উল্লেখ্য, ভারতে প্রবেশের পর তার গতিবিধি ছিল সন্দেহজনক।
তদন্তে দেখা গেছে সে দিল্লি, চেন্নাই ও বিভিন্ন স্থানে সফর করেছে। তারপর ধরা পড়েছে গোয়ালিয়রে। তারপর তাকে পুলিশি রিমান্ডে নেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করে রাজ্যের ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। বলা হয়, বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকা দিয়ে গ্রেপ্তার হওয়ার সাত মাস আগে সে ভারতে প্রবেশ করে। অনেক আগে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে সে ভারতে বিভিন্ন স্থান সফর করছিল। এ ছাড়া সে পুলিশকে জানিয়েছে, এক সময় সে সৌদি আরবে ছিল। সেখানে চুরির একটি মামলায় এক বছরের জন্য সাজা ভোগ করেছে সে। তারপর বাংলাদেশে চলে আসে। পরে ভারতে চলে যায়। জিজ্ঞাসাবাদকারীদের সে বলেছে, বাংলাদেশে তার অসুস্থ মা ও বোন আছে। তারাই তাকে অর্থ পাঠাতেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর