× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যশোর ও পাবনায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে
২৫ জুন ২০১৮, সোমবার

মণিরামপুরে অজ্ঞাত দুই যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সকালে ছাতিয়ানতলা এলাকা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ বলছে, দু’দল সন্ত্রাসীর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ওই দুই যুবক মারা গেছেন। তবে, স্থানীয়দের দাবি ঘটনাস্থলে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে, ১৯শে জুন রাতে যশোর শহরের রেল রোডে ছিনতাইকারীদের হাতে নিহত চন্দন কুমার ঘোষের খুনি হিসেবে পুলিশ যে দুই যুববকে আটক করেছিল উদ্ধারকৃত লাশ দু’টি ওই যুবকদের হতে পারে। তবে, এ বিষয়ে পুলিশের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা মুখ খুলছেন না। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে পুলিশ সকালেই লাশ দু’টি যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। মণিরামপুর থানার ওসি মোকাররম হোসেন বলেন, ‘ভোর ৫টার দিকে আমরা জানতে পারি, যশোর-মণিরামপুর সড়কের বেগারিতলা-ছাতিয়ানতলা বিল এলাকায় দু’দল সন্ত্রাসীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ চলছে।
এরপর আমার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম সেখানে অভিযানে যাই। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা রাস্তার দুই পাশের পাটক্ষেতের মধ্য দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে রাস্তার পাশ থেকে দুই জনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।’ ওসি জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ ছাড়া অন্য কিছু উদ্ধার হয়নি। এছাড়া, স্থানীয়রা নিহত দুই ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারেননি। নিহতরা বহিরাগত বলে পুলিশ ধারণা করছে। যশোর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নিহতদের একজনের খালি গা, পরনে লুঙি ও কোমরে গামছা এবং অপরজনের পরনে নীলরঙের স্যান্ডো গেঞ্জি ও প্যান্ট রয়েছে। তাদের একজনের মাথায় একটি ও অপরজনের মাথায় দুটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। গুলিতে চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে।
এদিকে স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা থেকে জানান, পাবনার বেড়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ চরমপন্থি নেতা ও আন্তঃজেলা ডাকাতদলের প্রধান নিহত হয়েছে। তার নাম নিজাম মণ্ডল ওরফে বড় নিজাম (৪২)। সে নিজাম বাহিনীর প্রধান। শনিবার রাত ১২টার দিকে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহত নিজাম মণ্ডল মিরপুর গ্রামের জিলাল মণ্ডলের ছেলে। সে ২০১০ সালে ঢালারচরে চাঞ্চল্যকর তিন পুলিশ হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিল। এছাড়া আন্তঃজেলা ডাকাতদল নিজাম বাহিনীর প্রধান ও শীর্ষ চরমপন্থি নেতা ছিল। তার বিরুদ্ধে পাবনা ও রাজবাড়ী জেলায় সাতটি খুন ও দু’টি অপহরণ মামলা রয়েছে। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, আমিনপুর ঢালারচর মালদারহাট এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে একদল ডাকাত- এমন সংবাদ জানতে পেরে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি ছুড়লে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। ১০ থেকে ১২ মিনিটব্যাপী বন্দুকযুদ্ধের পর ডাকাতদলের অন্য সদস্যরা পালিয়ে গেলেও নিজাম গুলিবিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় তাকে রাতেই বেড়া হাাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় আহত হয়েছে তিন পুলিশ সদস্য।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর