× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গাড়ি চাপায় নিহত /২০ লাখ টাকায় সমঝোতা

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৫ জুন ২০১৮, সোমবার

রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভারে নোয়াখালীর এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর স্ত্রীর গাড়ি চাপায় নিহত পথচারী সেলিম বেপারির পরিবারের সঙ্গে ২০ লাখ টাকায় সমঝোতা হয়েছে। এককালীন ওই টাকা ছাড়া প্রতি মাসে আরো ২০ হাজার টাকা করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে সংসদ সদস্যের পরিবারের পক্ষ থেকে। সমঝোতার ভিত্তিতে নিহত সেলিম বেপারির  পরিবার হত্যা মামলাটি প্রত্যাহার করে নেবে। বৃহস্পতিবার এমপি মোবাইল ফোনে সেলিমের কর্মস্থল নাওয়ার প্রপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান হোসেনের মাধ্যমে সমঝোতার প্রস্তাব দেন। ওই দিন এমপির পক্ষ থেকে চারজন ইমরান হাসানের অফিসে দেখা করেন। সেদিন রাতেই উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে ক্ষতিপূরণের টাকা বুঝিয়ে দিয়ে মীমাংসা করা হয়। এসব তথ্য নিশ্চিত করে সেলিম বেপারির বোন জামাই আব্দুল আলিম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে এমপির লোকজন নাওয়ার প্রপার্টিজের বারিধারার ডিওএইচএসের অফিসে ইমরান হোসেনের  উপস্থিতিতে আমার কাছে ২০ লাখ টাকা বুঝিয়ে দিয়েছেন। ওই টাকা সেলিমের স্ত্রী চায়না বেগমের ব্যাংক হিসাবে রাখা হয়েছে।
পাশাপাশি মাসিক খরচ বাবদ আরো ২০ হাজার টাকা দেয়া হবে। তারা আশ্বস্ত করেছেন ভবিষ্যতে আমাদের পাশে থাকবেন। আব্দুল আলিম আরো বলেন, সমঝোতা হওয়ায় আমরা এখন মামলাটি তুলে নেব। এই সমঝোতার পর আমরা এমপি সাহেবের সঙ্গেও দেখা করেছি। তিনি কথা দিয়েছেন, যতদিন সেলিমের স্ত্রী বেঁচে থাকবেন ততদিন প্রতিমাসে ২০ হাজার করে টাকা দেবেন। এই টাকা প্রতিমাসে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে দেবেন।
নাওয়ার প্রপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান হোসেন জানান, একরামুল করিম চৌধুরী এমপির পক্ষ থেকেই সমঝোতার প্রস্তাব আসে। এ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য এমপি আমার বারিধারার ডিওএইচএসের অফিসে চারজন লোক পাঠান। তবে এই আলোচনায় এমপি, তার স্ত্রী-সন্তান এমনকি পুলিশের পক্ষ থেকে কেউ উপস্থিত ছিলেন না। ইমরান জানান, সেলিম বেপারির পরিবারের কথা চিন্তা করে আমি ৩০ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে দেয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু এমপির পরিবার এত টাকা দিতে রাজি হয়নি। তারা এককালীন ২০ লাখ আর মাসে মাসে ২০ হাজার টাকা দিবেন বলে জানিয়েছিলেন। তাই ওই দিন রাতেই সেলিমের পরিবারের সদস্যদের ডেকে এনে আপস করা হয়।
ইমরান জানান, এমপি বলেছেন শুধু টাকা নয় সেলিম বেপারির পরিবারের প্রতি সুদৃষ্টি থাকবে। ভবিষ্যতে তাদের দেখভালও করবে তারা। আর সেলিম বেপারির সঙ্গে আমার দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। তিনি যখন মারা গেছেন। তাকে হয়তো আর পাওয়া যাবে না। তাই সব দিক বিবেচনা করেই এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছি।  
গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মহাখালি ফ্লাইওভারের প্রবেশ মুখে দাঁড়িয়ে বাসের অপেক্ষা করছিলেন সেলিম বেপারি (৫৫)। ওই সময় সংসদ সদস্য স্টিকার লাগানো বেপরোয়া গতির একটি গাড়ি এসে তাকে ধাক্কা দেয়। গাড়ির চাকায় তার মাথার খুলি ও শরীরের অন্যান্য অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান সেলিম বেপারি। ততক্ষণে পালিয়ে যান ওই গাড়ির চালক। তবে পালিয়ে যাওয়া গাড়িটিকে ধাওয়া করেন এক মোটরসাইকেল আরোহী। শহরের কয়েকটি স্থান ঘুরে ওই গাড়িটি মানিক মিয়া এভিনিউ দিয়ে এমপি হোস্টেলে প্রবেশ করে। তখন গাড়ির চালক ওই মোটরসাইকেল আরোহীর কাছে নিজেকে এমপিপুত্র হিসাবে দাবি করেন। ঘটনাস্থলে পড়ে যাওয়া ওই গাড়ির নম্বর প্লেট বিআরটিএতে বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হয়েছে গাড়িটি নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুন নাহার শিউলির নামে রেজিস্ট্রেশন করা। শিউলি নোয়াখালীর এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর স্ত্রী। ঘটনার পরপরই অভিযোগ উঠে ওই গাড়ির চালক ছিলেন এমপি পুত্র শাবাব চৌধুরী। কিন্তু এমপির পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় গাড়িটিতে তাদের চালক ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর