× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জার্মানদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন

ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯

স্পোর্টস রিপোর্টার, মস্কো (রাশিয়া) থেকে
২৫ জুন ২০১৮, সোমবার

বাঁচা-মরার ম্যাচ বলতে যা বোঝায় জার্মানি-সুইডেন ম্যাচটাও সে রকমই ছিলো। পরিস্থিতি বেশ কঠিন ছিলো জার্মানির জন্য। কিন্তু চিরকালের লড়াকু দল জার্মানি। হারার আগে তারা হেরে বসে না। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত জার্মানরা লড়ে যায়। সুইডেনের বিরুদ্ধে সেটি আরো একবার প্রমাণ করলো জার্মানরা। এক গোলে হারতে বসা ম্যাচটি বিলম্বিত ভেলকিতে ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় জার্মানি। আর গতকাল বিশ্রামে কাটিয়েছে জার্মান শিবির।
সুইডেনের বিপক্ষে জিতলেও খেলোয়াড়দের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক ফুটবলাররা। সামনের ম্যাচগুলোতে জোয়াকিম লো’কে আরো কঠোর হওয়ার পরামর্শ তাদের।
সুইডেনের বিরুদ্ধে নামার আগে জোয়াকিম লো তার দলে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনেন। বিশ্বকাপজয়ী কোচ শুরুর একাদশে রাখেননি সামি খেদিরা ও মেসুত ওজিলের মতো তারকাদের। যদিও সেবাস্টিয়ান রুডি ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়লে সুযোগ পান জার্মানির তুর্কি বংশোদ্ভূত অপর ফুটবলার ইলকাই গুনদোয়ান। এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে ছবি তুলে জার্মানিতে সমালোচিত হন গুনদোয়ান ও মেসুত ওজিল। আর বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচের খেলা চলাকালে গুনদোয়ানকে দুয়োধ্বনি দেয় খোদ জার্মান সমর্থকরা। রাশিয়ায় গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মেক্সিকোর কাছে হার দেখে জার্মানি।
মেক্সিকোর প্রবল আক্রমণের মুখে দিশাহারা দেখিয়েছে জার্মান রক্ষণকে। ম্যানুয়েল নয়্যার যেভাবে গোল হজম করেছেন, তা স্মরণকালের মধ্যে মনে পড়ার কথা নয় ফুটবলপ্রেমীদের। সুইডেনের বিপক্ষে জয়টা জার্মানদের জন্য ছিল পরম অনাকাঙ্ক্ষিত। ড্র হলে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়াটা কঠিন হয়ে যেত জার্মানদের। সমীকরণ মেলাতে তখন অন্যের ওপর নির্ভর হয়ে পড়তে হতো তাদের। এমন অবস্থায় ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে জয়সূচক গোল পুরো বিষয়টিকে ‘ক্ল্যাসিক’ মর্যাদাই দেয়। আর ওই পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারেন কেবল গ্রেটরাই। ক্রুস দেখালেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতে কীভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেটপিস থেকে সুইডিশ বক্সে বল না ফেলে তিনি বল মেরেছেন সোজা গোলে। নিজের ওপর কতটুকু আত্মবিশ্বাস থাকলে একজন ফুটবলার এমন কিছু করতে পারেন!
১৯৯০’র আসরে লোথার ম্যাথিউসের হাতে উঠেছিল বিশ্বকাপ। সেবারের ফাইনালে দিয়েগো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনাকে দাঁড়াতেই দেয়নি জার্মানি। পেনাল্টি থেকে আন্দ্রে ব্রেহমে গোল করেছিলেন। সেই ম্যাথিউস ছেড়ে কথা বলেননি ওজিলকে। ওজিলের মধ্যে আকাঙ্ক্ষার অভাব রয়েছে বলে সমালোচনা করেছেন ম্যাথিউস। জার্মানির সাংবাদিকরাও কাটাছেড়া করছেন দলের পারফরমেন্স নিয়ে। গতকাল অনুশীলন ছিল না জার্মানির। জার্মান সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানা গেছে, সারাদিন মস্কোর ভেতুবেনতো হোটেলে সময় কাটিয়েছেন জার্মানির ফুটবলাররা। আগামী বুধবার কাজান অ্যারেনায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে জার্মানি। একই সময়ে মেক্সিকোর মুখোমুখি হবে সুইডেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর