× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তুরস্কে ফের এরদোগান ম্যাজিক

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) জুন ২৫, ২০১৮, সোমবার, ২:২৬ পূর্বাহ্ন

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। প্রাথমিক ফল থেকেই অনুমান করা যাচ্ছিল, ১৫ বছর দেশটির ক্ষমতায় থাকা এরদোগান তার মেয়াদে আরো ৫টি বছর যোগ করতে চলেছেন। বাংলাদেশ সময় রোববার দিবাগত রাত দেড়টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভোট গণনা চলছিল। আনাদুলু এজেন্সির বরাতে সে সময় পর্যন্ত প্রেসিডেন্সিয়াল ভোটের ৯৪.৮৩ শতাংশ ও পার্লামেন্টারি নির্বাচনের ৮৫.০৪ শতাংশ ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানায় আল জাজিরা।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পথে এরদোগান পেয়েছেন ৫২.৮৩ শতাংশ ভোট। তার নিতকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মুহাররম ইনচে পেয়েছেন ৩০.৬৮ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে, সংসদীয় ভোটেও স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে এরদোগান নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন একে পার্টি ও এমএইচপি’র জোট পিপলস অ্যাল্যায়েন্স। তারা পেয়েছে ৫৪.৭১ শতাংশ ভোট। সিএইচপি, আইওয়াইআই পার্টি ও এসপি’র সমন্বয়ে গঠিত নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জোট নেশন অ্যালায়েন্স পেয়েছে ৩৩.৫৩ শতাংশ ভোট।
রোববারের এ ভোটে প্রথমবারের মতো দেশটিতে প্রেসিডেন্টিয়াল ও পার্লামেন্টারি নির্বাচন একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ভোট গণনার আগ দিয়ে একে পার্টির এক কর্মকর্তা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার রানঅফ এড়াতে এরদোগান প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রোববারের ভোটে একে পার্টির জোট অংশীদার এমএইপি ব্যালটে জোরালো সমর্থন পেয়েছে। ফলে এরদোগান অবাধে দেশ শাসনের জন্য প্রয়োজনীয় সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতাও পেতে চলেছেন বলে মনে হচ্ছিল।
তুরস্কের মোট ভোটারের সংখ্যা আনুমানিক ৫ কোটি ৬০ লাখের বেশি। রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার তথ্যমতে, দেশজুড়ে তুরস্কজুড়ে ১ লাখ ৮০ হাজারের বেশি ব্যালটবাক্সে এদিন উভয় ভোটে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৮৭ শতাংশ ভোটার।
ওদিকে, বিরোধী সিএইচপি পার্টির মুখপাত্র বুলেন্ট তেজকান নির্বাচনের ফল নিয়ে রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার কভারেজের সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, এরদোগানের প্রতিদ্বন্দ্বীদের মনোবল দূর্বল করতে নির্বাচনের ফল নিয়ে জনগণের ধারণায় প্রভাব ফেলার চেষ্টা করেছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন, ভোট গণনা নিরীক্ষণ বন্ধে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের নেতিবাচক উৎসাহ দেয়ার চেষ্টা করেছে রাষ্ট্রীয় মিডিয়া।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনে জালিয়াতি প্রতিরোধে আনুমানিক ৫ লাখ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে বিরোধী দল ও এনজিও’ গুলো।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান ভোট জালিয়াতি শঙ্কা নিয়ে মন্তব্য করেন, ভোটে গুরুতর কোন লঙ্ঘণ হয় নি। ইস্তাম্বুলে নিজের ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তুরস্ক একটি গণতান্ত্রিক অভ্যুত্থান রচনা করছে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর