আগের দুই ম্যাচে বিবর্ণ লাগছিল ব্রাজিলকে। সেলেসাওদের চেনা ছন্দে ফিরতে দেখা গেল স্পার্তাক স্টেডিয়ামে। সাম্বা ছন্দের ফুটবলে ব্রাজিলের দর্শকদেরও প্রাণ ফেরে এই ম্যাচে। স্থানীয় সময় রাত ৯টায় খেলা শুরু হলেও ব্রাজিল সমর্থকরা স্পার্তাক স্টেডিয়াম কানায় কানায় ভরে দেন বিকালের পরই। নানা দেশের, নানা বর্ণের ব্রাজিল সমর্থকরা মস্কোর বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে হাজির হন স্টেডিয়ামে। পুরো স্টেডিয়াম এলাকায় ছিলো হলুদের ঢেউ। উৎসবমুখর সমর্থকদের হতাশ করেননি নেইমাররা। আগের ম্যাচে সেন্ট পিটার্সবার্গের দর্শকরা যা দেখতে পাননি, সেটাই মস্কোর দর্শকদের দেখালো সেলেসাওরা।
সার্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের ২-০ ব্যবধানের জয়ে নেইমারের গোল নেই। গোল না পেলেও নেইমারই ছিলেন দলের প্রাণভোমরা। নেইমারের নিখুঁত পাসগুলোই বারবার ভেঙে ফেলেছে সার্বিয়ার রক্ষণ দেয়াল। নিজে কয়েকবার গোলের সুযোগও পেয়েছিলেন। কিন্তু এ ম্যাচে হয়তো তার গোলভাগ্য ছিল না। এতে হতাশ হননি ব্রাজিলের সমর্থকরা। এমন ছন্দময় ফুটবলে খুশি তারা। এই খুশির উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছিল মস্কোজুড়ে। মস্কোকেই রিও ডি জেনিরো কিংবা সাও পাওলো বানিয়ে ফেলেছিল সফররত ব্রাজেলিয়ানরা। এর শুরুটা করে তারা স্পার্তাক স্টেডিয়ামের মেট্রো স্টেশন থেকে। মেট্রোতে নেচে গেয়ে উত্তাল করে তোলেন তারা। রাশিয়ানরাও তাদের সঙ্গে তাল মেলান। ব্রাজিলিয়ান সমর্থকরা আস্তে আস্তে জড়ো হতে থাকেন সেন্ট্রাল মস্কো ও রেড স্কোয়ারে। এখানে উৎসব চলে রাতভর। স্থানীয় পুলিশও ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের উৎসবে বাদ সাধেনি। উল্টো আয়োজকরা ভলান্টিয়ার দিয়ে এদের সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য করেছেন। রাতভর উৎসব শেষে ব্রাজিলিয়ানদের আপাতত গন্তব্য সামারা। সেখানে শেষ ষোলো রাউন্ডে ব্রাজিলের লড়াই কনকাকাফ জায়ান্ট মেক্সিকোর সঙ্গে। লড়াইটা জমবে, সাম্বার সঙ্গে লাল-সবুজ ‘মেক্সিকান ওয়েভ’-এর একটা পাল্টাপাল্টি লড়াই চলে চিরকাল। এই মেক্সিকোই চ্যাম্পিয়ন জার্মানির বুকে প্রথম তীরটা মেরেছিল। মেক্সিকোর সঙ্গে আগামী ২রা জুলাই প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।