মাত্র ২৩ বছর বয়সে জাতীয় দলকে বিদায় বলে দিলেন ইরানের ফরোয়ার্ড সরদার আজমুন। আরব বিশ্বে যিনি ‘ইরানিয়ান মেসি’ নামে পরিচিত। গত দুই বছর ইরান জাতীয় দলের হয়ে দুর্দান্ত নৈপুণ্য তার। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ৩ ম্যাচে মাঠে নামলেও কোনো গোল পাননি তিনি। এর পরই তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। আর আজমুনকে অপমান করা সহ্য হয়নি তার মায়ের। এ কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আর মায়ের অবস্থা দেখে অল্প বয়সেই দেশের জার্সি তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেন আজমুন।
এ নিয়ে আজমুন বলেন, অনেকদিন অসুস্থ থাকার পর গত কয়েক মাস ভালো ছিলেন আমার মা। আর আমিও খুশি ছিলাম। কিন্তু আমাকে নিয়ে কিছু মানুষের সমালোচনা সহ্য করতে না পেরে আমার মা আবারো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এখন আমার মায়ের অবস্থা ভালো নয়। আর তার অবস্থা আমাকে আরো কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। যেখানে মা অথবা জাতীয় দলকে বেছে নিতে হচ্ছে আমাকে। তাই আমি আমার মাকেই বেছে নিলাম। ২০১৪ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে ইরান জাতীয় দলে অভিষেক হয় সরদার আজমাউনের। ইরানের জার্সি গায়ে ৩৪ ম্যাচে ২৩ গোল রয়েছে তার ঝুলিতে। যা ইরানের জার্সি গায়ে কোনো খেলোয়াড়ের পঞ্চম সর্বাধিক গোলের রেকর্ড। অনেকেই তাকে ইরানের হয়ে সর্বাধিক ১০৯ গোল করা আলী দাইয়ির সঙ্গে তুলনা করেন। বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে ১৪ ম্যাচে ১১ গোল করেন আজমুন। বর্তমানে রাশিয়ার ক্লাব রুবিন কাজানের হয়ে খেলছেন তিনি। এবারের বিশ্বকাপে তিন ম্যাচে এক জয় ও দুই হারে ‘বি’ গ্রুপে তৃতীয় হয়ে বিদায় নেয় ইরান। প্রথম ম্যাচে মরক্কোর বিপক্ষে ১-০ গোলে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে স্পেন হার দেখে তারা। আর শেষ ম্যাচে ইউরো চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালকে ১-১ গোলের ড্রতে রুখে দিলেও গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় ইরান।