এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার প্রত্যেক ম্যাচেই মাঠে উপস্থিত ছিলেন দেশটির কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনা। দলকে সব দিক দিয়ে সমর্থন জুগিয়েছেন। কিন্তু গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে গ্যালারিতে বসে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করার কারণে শাস্তি পেতে পারেন ১৯৮৬’র বিশ্বকাপ জয়ী এ আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। এ ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলের পর অশালীন অঙ্গভঙ্গি করেন ম্যারাডোনা। গ্যালারিতে বসে দর্শকদের ঘিরেই ছিল তার এমন আচরণ। বর্তমানে আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থার (ফিফা) দূত হিসেবে কাজ করছেন তিনি। এই কারণেই হয়তো পদচ্যুত হতে পারেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ভ্যানগার্ডে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিফা ম্যারাডোনাকে আর টাকা দেবে না।
অ্যাম্বাসেডর (দূত) হিসেবেও আর নাকি দেখা যাবে না তাকে। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির এমন আচরণে হতাশ হয়েছে ফিফাও। তার এমন আচরণ মেনে নিতে পারেনি বলেই স্টেডিয়ামে সাবেক ও বর্তমান সব খেলোয়াড়কে অপর দলের সমর্থকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক এই সংস্থাটি। এই ম্যাচে ম্যারাডোনার এমন আচরণ নিয়ে ফিফার প্রধান নির্বাহী কলিন স্মিথ বলেন, যার মাধ্যমে ফুটবলে ইতিহাস রচিত হয়েছে তার অবশ্যই সবকিছুতে ভূমিকা রয়েছে। দিয়েগো ম্যারাডোনা অবশ্যই কিংবদন্তিদের একজন, যিনি এই খেলারই অংশ। তাই সকল সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়, স্টাফ, সমর্থকদের প্রতি শ্রদ্ধার সঙ্গে আচরণ করা উচিত। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালে গ্যালারিতে ৫৭ বছর বয়সী ম্যারাডোনা খুবই উগ্র মেজাজে ছিলেন। অসুস্থ হয়ে এক পর্যায়ে ঘুমিয়েও পড়েছিলেন তিনি। রক্তচাপ কমার কারণে আবার অসুস্থ হয়ে পড়া ম্যারাডোনার জন্য ম্যাচের বিরতিতে ডাক্তারও ডাকতে হয়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে ম্যারাডোনা নিজেই জানান এমন খবর।