এবারের বিশ্বকাপে জার্মানিকে হারিয়ে বড় অঘটনের জন্ম দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। তাদের কাছে হেরে গ্রুপ পর্বেই বিদায় নিতে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে। তবে, প্রথম দুই ম্যাচ হারায় এ জয়ের পরেও বিদায় নিয়েছে এশিয়ান জায়ান্টরাও। এ কারণেই সম্ভবত শাস্তি পেতে হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবলারদের। দুই বছর দেশটির সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হতে পারে তাদের। কারণ দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়ম অনুযায়ী, ১৮-৩৫ বছর বয়সী যুবাদের বাধ্যতামূলক অন্তত দু’বছর করে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। এই দলের খেলোয়াড়রা সে নিয়ম থেকে ছাড় পেয়েছিলেন। তবে, বিশ্বকাপ বিপর্যয়ের পর তারা নিয়মের ব্যতিক্রমের সুবিধা পাবেন কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়।
যদি দেশের নিয়ম মানতে হয় তাদেরও অন্তত দু’বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হবে। সেই সম্ভাবনা থেকেই দেশটির সরকারি ওয়েবসাইটে পিটিশন করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবল সমর্থকরা। সেখানে ‘ফুটবলারদের মুক্ত করা হোক’ নামে একটি পিটিশন করেছে তারা। তবে, মুক্তি পেতে পারেন ফুটবলাররা। আগামী বছর এশিয়ান গেমসে যদি চ্যাম্পিয়ন হয় দক্ষিণ কোরিয়া তবেই মুক্তি পেতে পারেন ফুটবলাররা এমনটাও শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি নাক ইয়োং জানান, বাস্তবতা আমাদের কল্পনাকেও হার মানিয়েছে। যদি এ নিয়ম বলবৎ থাকে তাহলে কয়েকজন প্রতিভাবান ফুটবলারের ক্যারিয়ার বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশটির এমন সিদ্ধান্তে অনেকটাই অখুশি দক্ষিণ কোরিয়ার ফুটবলপ্রেমীরা, এমনটাই জানায় মস্কোর এক সংবাদ মাধ্যম। অবশ্য এরকম সিদ্ধান্ত শুধু দক্ষিণ কোরিয়ার নয়। সৌদি আরব হেরে যাওয়ার পর দেশটির পক্ষ থেকে দুই ফুটবলারকে শাস্তি দেয়ার ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০১০ বিশ্বকাপে উত্তর কোরিয়া গ্রুপ পর্বে বিদায় নেয়ার পর প্রেসিডেন্ট কিমের শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল দেশটির খেলোয়াড়দের।