× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ৪ মে ২০২৪, শনিবার , ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পশ্চিমবঙ্গের বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী পঞ্চায়েত / আসনের ভাগ্য নির্ধারণ সুপ্রিম কোর্টে

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) জুলাই ১, ২০১৮, রবিবার, ১২:৩৩ অপরাহ্ন

পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে অনেকদিন। কিন্তু বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ৩৪ শতাংশ পঞ্চায়েত আসনের ফল প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ফলে সংশ্লিষ্ট আসনগুলির ভবিষ্যত ঝুলে  রয়েছে। সেই ৩৪ শতাংশ পঞ্চায়েতের আসন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কি রায় দেয় সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি। বিজেপি ও সিপিআইএম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসক দলের জয়লাভ নিয়ে আদালতে মামলা করেছিল। আগামী মঙ্গলবার ৩ জুলাই সেই মামলার শুনানী হবার কথা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়া আসনগুলিতে শীর্ষ আদালত পুনরায় মনোনয়ন ও নির্বাচনের নির্দেশ দিলে জটিলতা বাড়বে। এমনকি মামলার শুনানি যদি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট আসনগুলি নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমান পঞ্চায়েতের মেয়াদ আগষ্ট পর্যন্ত। সুতরাং তার আগেই বোর্ড গঠনের কাজ সেরে ফেলতে হবে। ফলে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ যাতে তাদের বিরুদ্ধে না যায়, আঁটঘাট বেঁধে দিল্লি যাচ্ছেন কমিশন ও সরকারের আইনজীবীরা। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের বাধা দেওয়ার একাধিক অভিযোগ নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছিল। পরে যদিও আদালতের নির্দেশে নির্বাচন প্রত্রিয়া সম্পন্ন হলেও  বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ীদের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছিল, আদালতের অনুমতি ছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৩৪ শতাংশ আসনের ফল ঘোষণা করা যাবে না। আগামী ৩ জুলাই, মঙ্গলবার এ বিষয়েই শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। আগামী সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব নীলাঞ্জন শান্ডিল্য এবং যুগ্ম সচিব শান্তনুু মুখোপাধ্যায়। অন্যদিকে পুনর্নিবাচনের স্বপক্ষে সওয়াল করতে বিরোধীরাও তৎপর। শুধু মনোনয়ন পর্বই নয়, নির্বাচনের দিনও বীরভূম, মালদহ সহ সারা রাজ্যের একাধিক জেলার হিংসার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আদালতে দাখিল করতে পারে বিরোধীরা। সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত নির্বাচন যে অবাধ বা সুষ্ঠুভাবে হয়নি তাও আদালতের কাছে তুলে ধরতে পারেন বিরোধীরা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক বলেছেন, আদালত সব পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে বললে জটিলতা বাড়বে। তবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৩৪ শতাংশ আসনে আদালত পুনরায় নির্বাচনের নির্দেশ দিলে তা হবে রাজ্যের নির্বাচনের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর