জাপানের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর নতুন গল্প লিখলো বেলজিয়াম। দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও ৩-২ গোলের রুদ্ধশ্বাস জয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট কাটে তারা। এমন প্রত্যাবর্তনে ৫২ বছরের পুরনো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করে বেলজিয়াম। নকআউট পর্বে ৯০ মিনিটের মধ্যে দুই বা তার বেশি গোলে পিছিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সবশেষ কীর্তি ইউসেবিওর পর্তুগালের। ১৯৬৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে ২২ মিনিটেই তিন গোল হজম করে পর্তুগাল। ইউসেবিওর কারিশমায় ৫-৩ গোলের অবিস্মরণীয় জয় পায় ইউরোপিয়ান পরাশক্তিরা। একাই চার গোল করেন পর্তুগিজ কিংবদন্তি ইউসেবিও। ১৯৭০ বিশ্বকাপে তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিও এই কীর্তি দেখায়।
তবে সেটি অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে। কোয়ার্টার ফাইনালে ২-২ সমতায় ফিরে অতিরিক্ত সময়ে ইংল্যান্ডকে বিদায় করে জার্মানরা। সোমবার রোস্তব অ্যারেনায় দ্বিতীয় রাউন্ডের নাটকীয় ম্যাচে ইনজুরি সময়ের গোলে জাপানের হৃদয় ভাঙে বেলজিয়াম। দ্বিতীয়ার্ধে চার মিনিটের (৪৮ ও ৫২) মধ্যে দুবার বেলজিয়ামের জালে বল পাঠিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় নীল সামুরাইরা। গোল দুটি করেন জেনকি হারাগুচি ও তাকাশি ইনুয়ি। তখন মনে হচ্ছিল আরেকটি বড় অঘটনের শিকার হতে যাচ্ছে শিরোপার অন্যতম দাবিদাররা।
বেলজিয়ামের স্প্যানিয়ার্ড কোচ রবার্তো মার্টিনেজ নড়েচড়ে বসেন। ৬৫ মিনিটে একসঙ্গে মারুয়ান ফেলাইনি ও নাসের চাদলিকে বদলি হিসেবে নামিয়ে বাজিমাত করেন তিনি। পাঁচ মিনিটে দুই গোল পরিশোধ করে দেয় বেলজিয়াম। ৬৯ মিনিটে ইয়ান ভার্টংগেন ও ৭৪ মিনিটের হেডে দলকে সমতায় ফেরান ফেলাইনি। ৯৪ মিনিটে বেলজিয়ামকে প্রত্যাবর্তনের অবিস্মরণীয় জয়োল্লাসে ভাসান উইঙ্গার নাসের চাদলি। এর মধ্যদিয়ে আরেকটি রেকর্ডের জন্ম দেয় বেলজিয়াম। বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের ম্যাচের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে বেলজিয়ামের দুই বদলি খেলোয়াড় গোল আদায় করেন।