× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আশার আলো জ্বেলে দিয়ে গেল জাপান

ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯

স্পোর্টস ডেস্ক
৪ জুলাই ২০১৮, বুধবার

বিশ্বকাপ মঞ্চে একটা সময় ছিল ইউরোপের দলের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারতো না এশিয়ার দলগুলো। এখন সেই দিন নেই। বিশ্বকাপ মঞ্চে সুদিন ফিরেছে এশিয়ান ফুটবলে। ইউরোপিয়ান পরাশক্তিদের ছেড়ে কথা বলে না এশিয়ার দলগুলো। পারফরম্যান্সে এসেছে যথেষ্ট ধারাবাহিকতা। এটি অব্যাহত থাকলে কে জানে অদূর ভবিষ্যতে হয়তো বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরবে এশিয়া! এই অঞ্চলের ফুটবল কতটা এগিয়েছে তার জ্বলন্ত উদাহরণ ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এই প্রথম একই আসরে এশিয়ার পৃথক চারটি দল ম্যাচে জয়ের নজির গড়ে। যেখানে ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে জয় আসেনি একটিও।
গ্রুপ পর্বে শিরোপাধারী জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করে দক্ষিণ কোরিয়া।
নকআউট পর্বে বেলজিয়ামকে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল জাপান। দুই গোলে পিছিয়ে থেকে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে রক্ষা পায় শিরোপার অন্যতম দাবিদার বেলজিয়াম। ইনজুরি সময়ের গোলে স্বপ্ন ভাঙে নীল সামুরাইদের। নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে তারা। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হেরে গেলেও এশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে দিয়ে গেল জাপান।
গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচেই কলম্বিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে জাপান। বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকান দলের বিপক্ষে এশিয়ার কোনো দলের এটাই প্রথম জয়ের রেকর্ড। দ্বিতীয় ম্যাচে আফ্রিকার সেনেগালের বিপক্ষে দুই দফায় পিছিয়ে থেকেও ২-২ গোলের রোমাঞ্চকর ড্র করে জাপান। শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডের কাছে ১-০ গোলে হারলেও এশিয়ার একমাত্র দল হিসেবে নকআউট পর্বে নাম লেখায় তারা। গ্রুপ পর্বে বিদায় নিলেও ইরান, সৌদি আরব ও দক্ষিণ কোরিয়ার পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। জার্মানিকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ার আগে ভালো খেলেই সুইডেন (১-০) ও মেক্সিকোর (২-১) বিপক্ষে হার দেখে কোরিয়ানরা। এবার দারুণ খেলা উপহার দেয় ইরান। মরক্কোকে ১-০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে তারা। ইরানের বিপক্ষে ১-০ গোলের কষ্টার্জিত জয় পায় স্পেন। শেষ ম্যাচে রোনালদোর পর্তুগালকে ১-১ গোলে রুখে দেয় ইরান। স্পেন ও পর্তুগালের চেয়ে মাত্র ১ পয়েন্ট পেছনে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করে ইরানিরা। উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক রাশিয়ার কাছে ৫-০ গোলে হারের ধাক্কা দারুণভাবে সামাল দেয় সৌদি আরব। দ্বিতীয় ম্যাচে উরুগুয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলের লড়াকু হার দেখে তারা। শেষ ম্যাচে ধরা দেয় জয়। মোহাম্মদ সালাহর মিশরকে ২-১ গোলে হারায় সৌদি আরব।
বিশ্বকাপে এশিয়ার সেরা সাফল্য ২০০২ দক্ষিণ কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপে। সেমিফাইনাল খেলার ইতিহাস গড়ে দক্ষিণ কোরিয়া। জার্মানির বিপক্ষে ১-০ গোলের হারে ফাইনালে ওঠার স্বপ্নভঙ্গ হয় স্বাগতিকদের। সেবার গ্রুপ পর্বে পোল্যান্ড (২-০) ও পর্তুগালকে (১-০) হারায় দক্ষিণ কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে অপর ম্যাচে ১-১ সমতায় শেষ হয়। দ্বিতীয় রাউন্ডে কোরিয়ার কাছে হার দেখে ইতালি (২-১)। ভিন্ন গ্রুপে বেলজিয়ামের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্রয়ের পর রাশিয়া (১-০) ও তিউনিশিয়াকে (২-০) হারিয়ে শেষ ষোলোতে ওঠে জাপান। দ্বিতীয় রাউন্ডে তুরস্কের কাছে ১-০ গোলে হারে ওই আসরের যৌথ আয়োজকরা।
১৯৬৬ বিশ্বকাপে চিলির বিপক্ষে ড্র ও ইতালিকে হারিয়ে বাজিমাত করে উত্তর কোরিয়া। কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের বিপক্ষে ৫-৩ গোলের রোমাঞ্চে হার দেখে তারা। বিশ্বকাপে দুই কোরিয়ার বাইরে আর কেউ কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে পারেনি। ১৯৯৮ আসর দিয়ে বিশ্বকাপে পা রাখা জাপান এ নিয়ে তৃতীয়বার শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিলো।
ইতিহাসের তৃতীয় বিশ্বকাপে অভিষেক হয় এশিয়ার। ইন্দোনেশিয়ার হাত ধরে। কিন্তু অভিজ্ঞতা সুখকর হয়নি তাদের। ১৯৩৮ বিশ্বকাপে একমাত্র ম্যাচে হাঙ্গেরির বিপক্ষে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় ইন্দোনেশিয়া। এশিয়ার কোনো দলের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে পরাজয়ে লজ্জা আসে ১৯৫৪ আসরে। সেবার হাঙ্গেরির কাছেই ৯-০ গোলে উড়ে যায় দক্ষিণ কোরিয়া। ২০০২ বিশ্বকাপে জার্মানির বিপক্ষে ৮ গোল হজম করে সৌদি আরব। ২০১০ বিশ্বকাপে পর্তুগালের বিপক্ষে ৭-০ গোলে হারের অভিজ্ঞতা নেয় উত্তর কোরিয়া।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর