× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

৬ বছরের ছেলেটি যেভাবে পেল বিশ্বকাপের ফ্রি টিকেট

বাংলাদেশ কর্নার


৪ জুলাই ২০১৮, বুধবার

কলম্বিয়া বনাম পোল্যান্ডের ম্যাচ শেষে গ্যালারিতে বাবার কাঁধে মাথা রেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে কোলে থাকা এক শিশু। আর তাকে সমবদেনা জানাতে থাকে প্রতিদ্বন্দ্বী দলের সমর্থকরা। এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তা মন জয় করে নিয়েছে ফুটবল নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ফিফার। পরিবারটিকে ফিফা তাই দিয়েছে বিশ্বকাপের ফাইনাল উপভোগের টিকেট।

ব্রিটেনের এডিনবারা থেকে ছয়বছরের ছেলে অ্যালেক্সকে নিয়ে তার স্কটিশ বাবা আয়ান মেইকেলজন রাশিয়া এসেছিলেন পোল্যান্ডকে সমর্থন জানাতে।

কিন্তু কলম্বিয়ার কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারার পর গ্রুপ পর্ব থেকেই পোল্যান্ডের বিদায় ঘটে। আর সে বিদায় মেনে নিতে পারেনি শিশু অ্যালেক্স, কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। কিন্তু কলম্বিয়া দলের সমর্থকরা এসে তাকে সমবেদনা জানিয়ে আদার করে। সেই দৃশ্যের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে যা অন্তর স্পর্শ করে অনেকের।

চার বছর আগে রিও ডি জেনেরিওতে বহু চেষ্টা করেও মেলেনি বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকেট। সেখানে পরিবারটির ভাগ্য এবার পুরোপুরি যেন হঠাৎ করে বদলে গেল।
মিস্টার মেকেলজন বিবিসি রেডিও স্কটল্যান্ডকে বলেন, "পুরো ব্যাপারটি শতভাগ পাল্টে গেছে। যা একবারেই আশ্চর্যজনক ব্যাপার, এটা দুর্দান্ত।"

এর আগে কাযান অ্যারেনাতে যখন হেরে যায় পোল্যান্ড, সেদিন কলম্বিয়ার সমর্থকরা যেভাবে এসে সমবেদনা জানিয়েছিলেন তাতে স্কটল্যান্ডের নাগরিক বলেন, কলম্বিয়ানরা ছিল অসাধারণ...নিশ্চিতভাবে তা দেখা সবচেয়ে দারুণ সমর্থক-গোষ্ঠী ছিল তারা।

যখন অ্যালেক্স ভেঙে পড়ে এবং কাঁদতে থাকে সেসময়কার কথা বলছিলেন তার বাবা, "কলম্বিয়ার সমস্ত ভক্তরা আমাদের ঘিরে জড়ো হয় এবং তারা সমস্বরে চিৎকার করে বলতে থাকে পোলস্কা, পোলস্কা...তারা কেউ মাথার হ্যাট খুলে, স্কার্ফ খুলে আমাদের দিয়ে যায়।"

আমার স্ত্রী আইওনা তৎক্ষণাৎ ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ধারণ করে এবং সেটি সেইরাতে টুইটারে আপলোড করে। এরপর সেটি ব্যাপকভাবে শেয়ার হতে থাকে, বলেন অ্যালেক্স এর বাবা।

এরপর সেই ভিডিওটি ভাইরাল হতে থাকে এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে থাকেন লোকজন। গত ছয়-সাতদিন ধরেই এমন চলছে। বিষয়টিকে পুরোপুরি অবাস্তব বলে মনে হচ্ছে পরিবারটির কাছে। মিস্টার মেকেলজন খেলা দেখতে গিয়ে জানতে পারেন ফিফার #রাইভাল-হাগ ক্যাম্পেইনের কথা, যে ক্যাম্পেইনের মধ্য দিয়ে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের মধ্যে বন্ধুত্বের আহ্বান জানানো হয়।

গত শুক্রবার স্কটল্যান্ড ফিরে যাওয়ার আগে তিনি ভিডিওটি সেই প্রতিযোগিতার জন্য জমা দেন। পরের দিন তিনি জানতে পারেন যে, মস্কোতে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা দেখার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি এবং সেজন্য সব ধরনের খরচ বহন করা হবে।

এই অবিশ্বাস্য অফার জয় করার বিষয়ে যখন অ্যালেক্সকে ফোন করে জানানো হল তখন সে তার মায়ের সাথে এক সুপারমার্কেটে ছিল।

তার বাবা মিস্টার মেকেলজন জানাচ্ছেন, "স্পষ্টভাবেই সে অস্থির হয়ে উঠলো। করিডোরে লাফালাফি শুরু করলো এবং সবাইকে বলতে লাগলো যে বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখতে যাচ্ছে।"

বিষয়টি আসলেই এই আসরকে আরও স্পেশাল করে তুলেছে পরিবারটির কাছে।

সূত্রঃ বিবিসি
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর